“দুর্ঘটনার বিষয়টি তদন্তের জন্য টিম গঠন করা হবে।”
Published : 08 Apr 2025, 05:39 PM
ফরিদপুরের সদর উপজেলায় একটি দ্রুতগতির বাস আরেকটি গাড়িকে পাশ কাটাতে গিয়ে খাদ পড়ে সাতজনের প্রাণহানি ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলার জোয়াইড় বাখুন্ডা এলাকার ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে ফরিদপুর কোতয়ালি থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন।
ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেন, “বাসটি দ্রুতগতির ছিল। দুর্ঘটনার সময় আরেকটি দ্রুতগতির কোনো যানকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
এ দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত সাতজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী এবং তিনজন পুরুষ ও একজন শিশু রয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিহতরা হলেন- মো. জোয়ার সরদার (৫৮), ছেলে ইমান সরদার (৩৫), ফজিরুন নেছা (৬০), শ্রাবন হাসান (৪০), আজিবুর (৪৩), ভারতি সরকার (৪০) ও দীপা খান (৩৪)।
স্থানীয়রা বলেন, মুকসুদপুর থেকে ছেড়ে আসা ‘ফারিয়া’ পরিবহনের একটি লোকাল বাস নগরকান্দা হয়ে ফরিদপুরে যাচ্ছিল। পথে রাস্তার পাশে বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা খেয়ে বাসটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। এ সময় বিদ্যুতের একটি পিলার প্রায় সাত থেকে আট ফিট বাসের ভেতরে ঢুকে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা হতাহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে বাসের নিচে চাপা পড়ে থাকা অবস্থায় কয়েকজনকে উদ্ধার করেছে বলে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার দিলরুবা জবা বলছেন, বাস দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন তারা।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, “খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই এবং হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজখবর নেই। দুর্ঘটনার বিষয়টি তদন্তের জন্য টিম গঠন করা হবে।”
এছাড়া নিহতদের দাফন ও সৎকারের জন্য প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। আর আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার প্রশাসন গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি।