এ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিলে আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেয়।
Published : 22 Dec 2023, 11:25 PM
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মার্জিয়া সুলতানাকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী। মার্জিয়া সাবেক এমপি গোলাম মোস্তফার স্ত্রী।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জলঢাকা উপজেলার টেঙ্গনমারী বাজারে ঈগল প্রতীকের পথসভায় অংশ নিয়ে এ ঘোষণা দেন তারা।
বসে যাওয়া দুই প্রার্থী হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোড়া প্রতীকের আবু সাঈদ শামিম এবং উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ট্রাক প্রতীকের হুকুম আলী খান।
প্রথম দিকে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়ন দাখিল করেন সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা। তবে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে এ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হলে দলীয় সিদ্ধান্তে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন তিনি।
এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেন মোস্তফার স্ত্রী জেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি মার্জিয়া। এছাড়া মনোনয়ন দাখিল করেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ শামিম, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হুকুম আলী খান ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল।
পরে যাচাই-বাছাইয়ে মার্জিয়ার মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান তিনি। তবে নির্বাচনের মাঠ থেকে যান আরও চার স্বতন্ত্র প্রার্থী।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, শুক্রবার বিকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামিমের টেঙ্গনমারী বাজারের বাসভবনে নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামিম, মার্জিয়া, হুকুম আলী ছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা, সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় ঈগল প্রতীকের পথসভায় যোগ দিয়ে মার্জিয়াকে সমর্থন জানান শামিম ও হুকুম আলী। সেইসঙ্গে তারা নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
এ দুই প্রার্থী সরে যাওয়া ঘোষণার পর এখন নির্বাচনের মাঠে রইলেন মার্জিয়া এবং কাঁচি প্রতীকের সাদ্দাম হোসেন পাভেল।
শামিম বলেন, “জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের ঐক্যের জন্য নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এ সময় ঈগল প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অপর প্রার্থী হুকুম আলী বলেন, “দলের এবং এলাকার বৃহৎ স্বার্থে আমরা সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফার সহধর্মিণীকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ালাম। আজ থেকে ঈগল প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিয়ে ভোট চাইব।”
সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, “আমাদের মধ্যে একাধিক প্রার্থী ছিল। বৃহত্তর স্বার্থে শামিম ও হুকুম আলী নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন। তারা মার্জিয়াকে সমর্থন দিয়েছেন। তাদের সমর্থনে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত হবে।”
মার্জিয়া সুলতানা আশা করছেন, দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী সরে দাঁড়ানোয় এ আসনে ঈগল প্রতীকের জয় এখন ‘সুনিশ্চিত’।
এ আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল।
এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কাজী ফারুক কাদের (কেটলি)।
অপর প্রার্থীরা হলেন- তৃণমুল বিএনপির খলিলুর রহমান (সোনালী আঁশ) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির বাদশা আলমগীর (হাতঘড়ি)।