এত মাছ ধরা পড়েছিল যে, জালের কিছু অংশ সাগরে কেটে ফেলে দিতে হয়েছে বলে জানান পটুয়াখালীর মৎস্য কর্মকর্তা।
Published : 06 Apr 2024, 09:50 PM
বঙ্গোপসাগরে জেলের জালে এক টানে ১৫০ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে; যা প্রায় ৪০ লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সাগরে এসব মাছ ধর পড়ে বলে জানিয়েছেন কলাপাড়া উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুধবার চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সূর্য মাঝি ১৭ জেলেসহ ‘আল্লাহর দয়া-১’ ট্রলার নিয়ে আলীপুর থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যান। বৃহস্পতিবার রাতে ইলিশ ও কাঁকড়ার ঝাঁক জালে আটকা পড়ে।
মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, “দেড়শ মণ মাছে বরফ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বরফ সংকটের কারণে সাড়ে ছয় হাজার পিসের মত মাছ জালে থাকা অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। সেগুলো নষ্ট হয়েছে। তবে এত পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়েছিল যে, এক পর্যায়ে জালের কিছু অংশ কেটে ফেলে দিতে হয়েছে।”
সর্বনিম্ন ৩৫০ গ্রাম থেকে ১২০০ গ্রাম সাইজের এ মাছ গড়ে ২৬ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে; যা প্রায় ৪০ লাখ টাকা বলে জানান এই মৎস্য কর্মকর্তা।
কলাপাড়ার আলীপুর মৎস্য বন্দরের খান ফিসের মালিক রহিম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাঁশখালীর জেলে হলেও তার সঙ্গে ব্যাবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। আড়তে নেওয়ার পর মাছগুলো ২৫ হাজার থেকে ২৬ হাজার টাকা মণ দরে কেনেন তিনি।
তিনি বলেন, ১৭ হাজার মাছ বরফ দিতে পেরেছিল। ৩০ থেকে ৩৫ মণ মাছ জালে পেঁচিয়ে ছিল। সেগুলো নষ্ট হয়েছে। দুই থেকে তিন হাজার মাছ নষ্ট হওয়ায় ফেলে দিতে হয়েছে। কিছু মাছ অন্য জেলের নৌকায় দিয়ে দিয়েছেন।
ভাগ্যক্রমে এক নৌকায় এতো মাছ পেলেও আসলে জেলেরা ভাল নেই; সাগরে তেমন মাছ ধরা পড়ছে না বলে জানান রহিম খান।
আলীপুরের ‘এফ বি তামান্না’ ট্রলারের ইউনুস মাঝি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, একই দিন তিনিও ৮০ মণ মাছ পেয়েছেন; যা ২৫ লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে।