পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় ‘বেড়াতে নিয়ে’ গভীর রাতে এক স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার গভীর রাতে পুরাতন আটোয়ারীর বন্দরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে আটোয়ারী থানার পরিদর্শক সোহেল রানা জানান।
গ্রেপ্তার রাজু ইসলাম (২০) আটোয়ারীর ধামোর ইউনিয়নের মালগোবা গ্রামের সমিজুল ইসলামের ছেলে ও সাইফুল ইসলাম (৪৮) একই এলাকার মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
মামলার বরাতে সোহেল রানা জানান, ‘ধর্ষণের’ শিকার স্কুলছাত্রীর বাড়ি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার রনচন্ডী এলাকার পানিহারা গ্রামে। সে সেখানকার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
এ ঘটনায় রোববার বিকালে স্কুলছাত্রীর বাবা সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন জানিয়ে থানা পরিদর্শক বলেন, “গ্রেপ্তার দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদে হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তদের ধরতে বিশেষ অভিযান চলছে।”
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই স্কুলছাত্রী সাংবাদিকদের জানায়, প্রথমে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয় হাসানের সঙ্গে। মামার বাড়ি যাওয়া-আসার সুবাদে সম্পর্ক আরো গভীর হয়। শনিবার বেড়ানোর কথা বলে তাকে পঞ্চগড়ে ডেকে নেন হাসান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শনিবার বিকালে মেয়েটি পঞ্চগড়ে এলে হাসান তার বন্ধু রাজু ও তাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ান। রাতে তাকে কৌশলে পুরাতন আটোয়ারী এলাকার বন্দরপাড়া গ্রামে সড়কের পাশে নির্জন জঙ্গলে নিয়ে যান। সেখানে প্রথমে হাসান ও পরে রাজু তাকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন যুবক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে হাসান ও রাজু পালিয়ে যান।
ওই সময় উপস্থিত যুবকদের কাছে সাহায্য চাইলে সাহায্য না করে উল্টো তারাও মেয়েটিকে ধর্ষণ করে এবং তাকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যান বলে মামলায় বলা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, গভীর রাতে মান্নান নামে এক পথচারী কিশোরীকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে বন্দরপাড়া গ্রামের নায়েব আলী নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে যান। পরে ঘটনা শুনে কিশোরীর খালুকে সংবাদ দেওয়া হয়। তার খালু তাকে ভোরে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।