মামলায় বলা হয়, মেয়েটিকে ভালো কাজ দেওয়ার কথা বলে ডেকে নেয় ধর্ষক।
Published : 30 Mar 2024, 10:02 PM
সিলেটে ভালো কাজ দেওয়ার প্রলোভনে তরুণীকে বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে তরুণীর মা বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন বলে জানান, কোতোয়ালি থানার ওসি মঈন উদ্দিন সিপন।
এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- নগরীর লালাদিঘীরপাড় এলাকার ৩৬ নম্বর বাসার বাসিন্দা আবদুস সালাম (৪০), একই এলাকার ২৭ নম্বর বাসার আবদুল মনাফ (৩৮) ও ঘাসিটুলা এলাকার মতিন মিয়ার কলোনির রেখা বেগম (৩০)।
ধর্ষণের অভিযোগ আনা তরুণী ঘাসিটুলার একটি কলোনির ভাড়াটিয়া।
ওসি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
মামলায় এজাহারে বলা হয়, “ওই তরুণী নগরীর শেখঘাট এলাকায় একটি বোতল তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। পরিবারের সদস্যরা তরুণীকে সিলেট শহরের বাসায় রেখে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যান।
এই সুযোগে একই কলোনির রেখা বেগম লালাদিঘীরপাড়ের আবদুস সালামের সঙ্গে তরুণীকে পরিচয় করিয়ে দেন।
সালাম তরুণীকে ভালো কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখান।
গত ৭ জানুয়ারি রেখা ভালো কাজ দেওয়ার কথা বলে তরুণীটিকে আবদুস সালামের লালাদিঘীরপাড়স্থ বাসায় নিয়ে যান।
বাসার একটি কক্ষে ২২ দিন আটকে রেখে আবদুস সালাম মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন বলে মামলায় এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
পরিবারের সদস্যরা সিলেটের বাসায় ফিরে তরুণীকে না পেয়ে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন।
কিন্তু কোথাও না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে চাইলে রেখা বেগম বাধা দিয়ে তাদের আবদুস সালামের কাছে নিয়ে যান। আবদুস সালাম তরুণীকে উদ্ধারে আশ্বাস দেন।
কয়েকদিন পর পরিবারের সদস্যরা আবারও আবদুস সালামের কাছে যায়।
সালাম তাদের জানান, লন্ডন প্রবাসী একটি পরিবারের কাছ থেকে তরুণীটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
তখন প্রবাসী পরিবারটির পরিচয় জানতে চাইলে আবদুস সালাম ক্ষেপে যান।
অপরদিকে, ধর্ষণের ঘটনা কাউকে বললে তরুণীকে প্রাণনাশের হুমকির পাশাপাশি বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন সালাম।
এর তিনদিন পর আবদুস সালাম বিয়ের কথা বলে ওই তরুণীকে আবদুল মনাফের মাধ্যমে হবিগঞ্জে নিয়ে যান।
সেখানে ফের আটকে রেখে সালাম ও মনাফসহ অজ্ঞাত কয়েকজন মেয়েটি ধর্ষণ করেন।
পরে সেখান থেকে গত মঙ্গলবার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে কৌশলে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে আনার কথা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে।