“প্রতি কেজিতে ছয় থেকে সাতটি আম ধরছে। প্রতিটি আমের ওজন ১৫০ গ্রামের মত।”
Published : 20 Jan 2025, 12:34 AM
কক্সবাজারের টেকনাফ বাজারে অসময়ে দেখা মিলেছে কাঁচা আম। সাধারণত চৈত্রের শেষ কিংবা গ্রীষ্মের শুরুতে বাজারে দেখা মেলে কাঁচা আমের।
তবে এবার মাঘের শুরুতেই টেকনাফের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা আম। অসময়ের এই ফল বিক্রি হচ্ছে বেশ চড়া দামে। প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায়।
রোববার সন্ধ্যায় টেকনাফ পৌরসভার বাসস্টেশন এলাকার সড়কের পাশের ফুটপাতে কাঁচা আম বিক্রি করতে দেখা গেছে। টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মিঠাপানির ছড়ার গ্রামের সব্বির আহমেদ ২৫ কেজি কাঁচা আম নিয়ে বাজারে আসেন। এ সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী নুরুল হোসাইন ছোট-বড় আমগুলো ৪০০ টাকা কেজি পাইকারি দরে ১০ হাজার টাকায় কিনে নেন।
সব্বির আহমেদ বলেন, “বাড়ির আঙিনায় কয়েক বছর ধরে তিনটি গাছে আগাম আম পাওয়া যাচ্ছে। আগাম ফল ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে। গাছে আরো প্রচুর আম রয়েছে। তবে আশপাশের লোকজনের বাড়িতে আম গাছে এখনো মুকুল আসেনি।”
পরে ব্যবসায়ী নুরুল হোসাইন খুচরা প্রতিকেজি ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। মুহূর্তের মধ্যে কয়েক কেজি আম বিক্রি হয়ে গেছে।
ব্যবসায়ী নুরুল হোসাইন বলেন, “আমগুলো ছোট-বড় থাকায় একটু চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে। বড় আমগুলো বিক্রি হয়ে গেলে ছোট আমগুলোর দাম এমনিতেই কমে যাবে।”
টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলাম বলেন, “হঠাৎ করে বাজারে কাঁচা আম দেখতে পাওয়ার বিষয়টি অবিশ্বাসযোগ্য হলেও সত্য। বর্তমানে অধিকাংশ এলাকায় আম গাছে মুকুলও আসেনি।
“এমন সময় বাজারে কাঁচা আম আসার খবরটি অবিশ্বাসযোগ্য। প্রতি কেজিতে ছয় থেকে সাতটি আম ধরছে। প্রতিটি আমের ওজন ১৫০ গ্রামের মত। প্রতিকেজি বিক্রি করা হচ্ছে ৫৫০ টাকায়।”