পুলিশ জানায়, এ মামলায় এখনও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
Published : 25 Jul 2024, 02:17 AM
বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং তার সহযোগী সংগঠনের ৮০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বুধবার কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমানুল্লাহ আল বারী জানান, মঙ্গলবার রাতে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার রাজীব বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
তিনি বলেন, মামলায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদারসহ ২৭ জন নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় এখনও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
পরির্দশক বারী বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্যসহ বেআইনি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দাঙ্গা সৃষ্টি করতে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি এবং মারধর করে গুরুতর ও সাধারণ জখম এবং বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হাসিলে জানমালের ক্ষতি, দোকান, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে।
১৯ জুলাই বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা রামদা, হকিস্টিক, লাঠি, দা, পিস্তল, হাতবোমা ও বন্দুকসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নগরীর সিঅ্যান্ডবি রোড বিএডিসির সামনে জড়ো হয়। পরে রাস্তা অবরোধ করে নাশকতা সৃষ্টি করতে গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
এজাহারে আরও বলা হয়, খবর পেয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর ও সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা সেখানে পৌঁছালে তাদের ওপর হামলা করে।
মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব তার সঙ্গে থাকা পিস্তল দিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে গুলি করে। মানববর্ম তৈরি করে তাকে রক্ষা করা হয়।
মামলার নামধারীসহ অজ্ঞাত আসামিদের হামলায় মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গাজী নইমুল হোসেন লিটু, উপপ্রচার সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জনি, সাজ্জাত সেরনিয়াবাত, নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনি ও শ্রমিক লীগ নেতা নাসিরউদ্দিনসহ বেশ কিছু নেতাকর্মী আহত হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।