ময়মনসিংহে দুই পক্ষের মারামারি ঠেকাতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের

পারিবারিক কলহের সালিশ বৈঠকে কোনো সমাধান না হওয়ায় বাড়ি ফেরার পথে মারামারিতে জড়ায় দুই পক্ষ।

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় সালিশ বৈঠক শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুই পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়লে তা ঠেকাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক যুবক।

উপজেলার বীরবেতাগৈর ইউনিয়নের আত্নারামপুর গ্রামে সোমবার রাত ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন নান্দাইল মডেল থানার এসআই মোস্তাক আহমেদ।

নিহত ৩০ বছরের আব্দুর রাজ্জাক একই গ্রামের মৃত মাইজ উদ্দীনের ছেলে।

স্থানীয়দের বরাতে এসআই মোস্তাক জানান, আত্নারামপুর গ্রামের আওয়ালের ছেলে আলম মিয়া কয়েক বছর আগে একই উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের জামতলা গ্রামে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল।

বিষয়টি সমাধানের জন্য সোমবার রাত ১০টার দিকে স্থানীয় মধুপুর বাজারে সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সেই বৈঠকে কোনো সমাধান না হওয়ায় বাড়ি ফিরছিল উভয় পক্ষ।

পথে আত্নারামপুর গ্রামে এসে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। এক প্রথমে পর্যায়ে হাতাহাতি পরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এ সময় দুপক্ষের মারামারি ঠেকাতে এগিয়ে আসেন আব্দুর রাজ্জাক। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত স্বজনরা তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি করার পূর্বেই তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহতের ভগ্নিপতি আব্দুল মোতালেব জানান, আব্দুর রাজ্জাকের ছোট ছোট তিনটি সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে একটি সন্তান প্রতিবন্ধী। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এই পরিবারটি দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসি দাবি করে তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় আব্দুল জব্বার, সাইফুল ইসলামরা এই হত্যার সঙ্গে জড়িত।

এসআই মোস্তাক আরও জানান, নিহতের লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এখনো কাউকে আটক করা যায়নি। তবে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।