২০২২ সালের ২২ অগাস্ট ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
Published : 15 Jul 2024, 08:57 PM
চাঁদপুরে নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধের সময় জেলেদের জন্য বরাদ্দ ৬ দশমিক ৭২ টন চাল আত্মসাতের ঘটনায় সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে দুদক।
৩০ জুন ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয় বলে জানান দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় চাঁদপুরের সহকারী পরিচালক মো. কোরবান আলী।
সোমবার সকালে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে প্রথমে থানায় অভিযোগ করা হয়। অভিযোগটি মামলায় রূপান্তরিত হলে আদালতে পাঠানো হয়। পরে এটি দুদক চাঁদপুর কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমতি নিয়ে ২০২২ সালের ২২ অগাস্ট সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয় বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, “মামলাটি তদন্তের জন্য আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্তের এক পর্যায়ে ওই ইউনিয়নের গুদামে সংরক্ষণ করা প্রথমে ৪ দশমিক ১ টন কম চাল পাওয়া গেলেও পরবর্তীতে সব কাগজপত্র দেখে ৬ দশমিক ৭২ টন চাল কম পাওয়া যায়।”
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৩০ জুন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদুপর জেলা জজ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয় বলে জানান দুদকের কোরবান আলী।
এর আগে ২০২২ সালের ১৭ মে ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জেলা খাদ্য গুদাম থেকে জেলেদের চাল উত্তোলন করেন। যার পরিমাণ ছিল ৫৩ দশমিক ৬৮ টন।
পরদিন চাল বিতরণের জন্য সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ও ট্যাগ অফিসার সুমন কুমার দাস ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে ৪ দশমিক ১ টন চাল কম পান।
বিষয়টি তাৎক্ষণিক চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়। পরে ইউএনওর পরামর্শে চালের গোডাউন সিলগালা করা হয়।
এ ঘটনায় তৎকালীন ইউএনও সানজিদা শাহনাজের নির্দেশে মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অভিযোগ করেন।
মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার পর আদালতের নির্দেশে সিলগালা থাকা গোডাউন খুলে জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়।