এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন আহতের বাবা।
Published : 29 Dec 2024, 08:06 PM
ফরিদপুরের সালথায় এক যুবলীগ কর্মীকে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
অবস্থার অবনতি হলে রোববার দুপুরে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় পূর্ব বিরোধের জেরে গট্টি ইউনিয়নের বালিয়াগট্টি বাজারে এ ঘটনা ঘটে বলে সালথা থানার ওসি মো. আতাউর রহমান জানান।
আহত মো. ইকরাম মাতুব্বর (৩৫) উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের পাটপাশা বালিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইসহাক মাতুব্বরের ছেলে। তিনি যুবলীগ কর্মী হিসেবে পরিচিত।
হাটুরে লোকজন ও ইকরামের স্বজনরা বলেন, শনিবার বিকালে রসুলপুর হাটে পেঁয়াজের হালি বিক্রি করে বালিয়াগট্টি বাজারে আসেন ইকরাম। ওই বাজারে একটি দোকানে কিছু খাওয়ার জন্য বসলে পাটপাশা বালিয়া গ্রামের আরিফ, আসলাম, দুলালসহ কয়েকজন যুবক তাকে হাতুড়ি পেটা করেন।
তাকে লোহার রড দিয়ে পায়ে আঘাত করলে তার ডান পা ভেঙে যায় বলে দাবি করেন ইকরামের বাবা ইসহাক মাতুব্বর।
পরে ইকরামকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রোববার ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ইসহাক মাতুব্বর অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলে আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরের রাজনীতি করতেন। তবে আপাতত সে রাজনীতি থেকে বিরত আছে। কিন্তু পাটপাশা বালিয়া গ্রামের আরিফ, আসলাম, দুলালসহ কিছু লোকজন তার ছেলেকে রাজনীতি ও পূর্ব বিরোধের জেরে হাতুড়ি ও রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছেন।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন ইসহাক মাতুব্বর।
এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও আরিফ, আসলাম ও দুলালের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
সালথা থানার ওসি মো. আতাউর রহমান বলেন, “এখনও কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”