“একপর্যায়ে স্বপ্নিল আমাকে আব্বু বলে ডাক দিল। ডাক শুনে আমি চেয়ে দেখি ছেলের দুইটা হাত পানির ওপরে দেখা যাচ্ছে।”
Published : 16 Apr 2025, 12:29 AM
গাজীপুরের শ্রীপুরে বাবার সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে লেকের পানিতে ডুবে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
নিখোঁজের প্রায় ২৮ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার বিকালে আরিয়ান স্বপ্নিলের লাশ খুঁজে পান টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা।
গাজীপুর মহানগরীর হাড়ীনাল (নোয়াগাঁও) এলাকার রাসেল মিয়ার ছেলে স্বপ্নিল স্থানীয় এআর মডেল স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ত।
সে গাজীপুরের শ্রীপুরে বাবার সঙ্গে খালার বাড়িতে বেড়া এসেছিল। গত সোমবার সে গজারতলি গ্রামে ‘ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফ্যামিলি রিসোর্টের’ লেকে ডুবে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা রায়হান ও ইয়াকুব আলী বলেন, সোমবার রাসেল মিয়া তার দুই ছেলেকে নিয়ে ওই রিসোর্টে ঘুরতে আসেন। রিসোর্টের লেকে বল নিয়ে খেলার এক পর্যায়ে স্বপ্নিল ডুবে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধারে জাল ফেলেন। এরপর টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ ডুবুরি লেকে নামেন।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের প্রধান ইদ্রীস আলী বলেন, “সোমবার দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আবার অনুসন্ধান চালিয়ে বিকাল ৪টায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়।”
বাবা রাসেল মিয়া বলেন, তিনি স্বপ্নিলকে পাড়ে রেখে ছোট ছেলেকে নিয়ে লেকের মাঝখানে চলে যান। কিন্তু স্বপ্নিল ফুটবল নিয়ে তার পেছন পেছন আসতে থাকে।
“একপর্যায়ে স্বপ্নিল আমাকে আব্বু বলে ডাক দিল। ডাক শুনে আমি চেয়ে দেখি ছেলের দুইটা হাত পানির ওপরে দেখা যাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “স্বপ্নিল সাঁতার জানে না। হাত থেকে বল ফসকে গেলে যে ডুবে যায়। বাবা হয়ে আমি ছেলেকে বাঁচাতে পারলাম না।”
রিসোর্টের মালিক আতিকুল্লা বাবুল বলেন, “আমাদের কোনো অবহেলা ছিল না। রিসোর্টটি নির্মাণাধীন হওয়ায় লেকে কোনো তদারকির ব্যবস্থা ছিল না। লোকজন যার যার ইচ্ছেমত লেকে নেমে সাঁতার কাটেন।”
শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।