২০১৯ সালের ২৬ মার্চ জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েলসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর এই হামলা হয়।
Published : 03 Sep 2024, 05:32 PM
ফরিদপুরে সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও তার ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ফরিদপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক মো. নাসিম মাহমুদের আদালতে নালিশী অভিযোগ উত্থাপন করা হয় বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী মো. হেমায়েত হোসেন।
তিনি আরও জানান, আদালতে অভিযোগটি দায়ের করেছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো. দেলদার হোসেন সবুজ। অভিযোগটি আমলে নিয়ে কোতয়ালী থানাকে মামলা রেকর্ড ও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বিচারক।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল নেতাকর্মীদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে যান।
এ সময় তৎকালীন সংসদ সদস্য ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও তার ভাই তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের নির্দেশে পৌর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে।
হামলায় মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করা হয় জুলফিকার হোসেন জুয়েল, দিলদার হোসেন সবুজসহ বেশ কয়েকজনকে।
পরে আহতরা চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে গেলে সেখানেও হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতারা। পরে আহতরা বাসায় প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।
হেমায়েত হোসেন বলেন, “আদালতকে আমরা জানিয়েছি, ওই সময়ে আমরা থানা ও আদালতে মামলা দায়েরের চেষ্টা করেছি, কিন্তু কেউই আমাদের মামলা গ্রহণ করেনি। আজ দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি পরিবর্তন হওয়ায় আমরা ন্যায়বিচারের আশায় আদালতে হাজির হয়েছি।”
ওই সময়ে হামলায় গুরতর আহত সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল জানান, “ওই দিন আমাকে মেরে ফেলার জন্যই আমার উপর হামলা করা হয়েছিল। কুপিয়ে আহত করার পরে আমি যে চিকিৎসা নিব, সেই সুযোগও আমাকে দেয়নি, হাসপাতালে গিয়ে আবার হামলা করেছে।
“আমি পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছি। আমি আশাবাদী দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আদালতের কাছে আমি ন্যায়বিচার পাব।”