টাকা না পেয়ে অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে কাজের সন্ধানে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাওয়া এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত তরুণ আবদুর রহিম মাসুদ (১৮) এর মরদেহ এখনও ওপারে রয়েছে। শনিবার পর্যন্ত লাশ হস্তান্তর করা হয়নি।
চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম জানান, পোশাকের ছবি দেখে পরিবার নিশ্চিত হয়েছেন মরদেহটি মাসুদের। বিষয়টি বিজিবিকে জানানোর পর তারা বিএসএফের সঙ্গে কথা বলে লাশ ফেরত আনার চেষ্টা করেছে।
বিজিবি রাজশাহী ১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাব্বির আহমেদ জানান, তাদের কাছে ওই তরুণ এখনও নিখোঁজ। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক হয়েছে।
“বিএসএফ জানিয়েছে, তারা একটা লাশ পেয়েছে। তবে সেটি কঙ্কাল হয়ে গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মর্গে পাঠানো হয়েছে,” যোগ করেন তিনি।
নিহত মাসুদের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের দিয়াড় মানিকচক কামারপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম বাবলু রহমান।
বাবলু জানান, গত ১৭ সেপ্টেম্বর বাড়িতে ৫০০ টাকা চেয়েছিল মাসুদ। তখন তার মা পরে দিতে চেয়েছিল। এতেই সে অভিমান করে কাউকে কিছু না জানিয়ে আরও তিনজনের সঙ্গে বেরিয়ে যায়।
রাজশাহীর মাজারদিয়াড় সীমান্ত দিয়ে তারা ভারতে ঢুকছিল কাজের সন্ধানে জানিয়ে তিনি বলেন, “তখন বিএসএফ ধাওয়া দিলে অন্য তিনজন পালিয়ে আসে আর মাসুদ ধরা পড়ে।“
বাবলু জানান, ভারতে তাদের আত্মীয় আছে। আত্মীয়ের মাধ্যমে ২০ সেপ্টেম্বর খবর পান সীমান্তে ভারতের অংশে মাসুদের মরদেহ পড়ে আছে। এ সময় ওই আত্মীয় বাবলুর সঙ্গে ভারতের এক পুলিশ কর্মকর্তার কথা বলিয়ে দেন। হোয়াটসঅ্যাপে ছবি বিনিময় করে মাসুদের পরিচয়ও নিশ্চিত হন। কিন্তু লাশটি ফেরত না দিয়ে রানীনগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার পর্যন্ত লাশ দেওয়া হয়নি।