এপ্রিলের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা মৎস্য কর্মকর্তাদের।
Published : 26 Mar 2024, 11:10 AM
কয়েকদিন ধরে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে প্রচুর জেলিফিশ আটকে পড়ে মারা যাচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় জেলে ও পর্যটকরা।
তবে বৃষ্টিপাত ও নিম্নচাপ সৃষ্টি না হলে কুয়াকাটা সৈকত এলাকায় জেলিফিশ আসা কমবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য কর্মকর্তারা। তাদের ধারণা এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে জেলিফিশের এমন আধিক্য থাকবে।
কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জেলিফিশ সাঁতার কাটতে পারে না। এরা স্রোতের সঙ্গে ভেসে বেড়ায়।
“জোয়ারের সময় ঢেউয়ের সঙ্গে সৈকতের বালিয়াড়িতে আসে। পরে ভাটায় তারা সাগরে ফিরতে না পেরে আটকে পড়ে। আর বালিয়াড়িতে আটকে পড়ার সাথেই সাথেই প্রাণীটি মারা যায়।”
এই মৎস্য কর্মকর্তা আরও বলেন, তাপমাত্রার কারণে জেলিফিশের বংশবৃদ্ধি বেশি হয়। এবার এ বৃদ্ধিটা অতিরিক্ত হারেই হয়েছে।
তিনি জানান, গত ১৫ ফেব্রুয়ারির পর থেকে সমুদ্রে এদের উপস্থিতি দেখা গেছে। গত ২০ থেকে ২৫ দিন জেলিফিশ একটু বেশি দেখা যাচ্ছে। তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে কিংবা একটা নিম্নচাপ হলে বা বৃষ্টিপাত হলে থাকবে না। এপ্রিলের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এদিকে কুয়াকাটার আশার আলো জেলে সমবায় সমিতির সভাপতি মো. নিজামউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কুয়াকাটা সৈকতের লেবুর চর থেকে গঙ্গামতি চর পর্যন্ত এলাকায় প্রচুর জেলিফিশ আটকা পড়ে মরে আছে। সৈকতের চরের মোহনায় সবচেয়ে বেশি জেলিফিশ আটকা পড়েছে।”
সাগরে প্রচুর জেলিফিশ থাকার কারণে গত এক মাস ধরে জেলেরা মাছ শিকার করতে পারছে না জানিয়ে তিনি বলেন, “জেলিফিশ আটকে গেলে জাল টানতে কষ্ট হয়। এছাড়া জেলিফিশ শরীরে লাগলে চুলকায়। তাই জেলেরা মাছ শিকার করতে যেতে চায় না। এর কারণে অনেক জেলে বেকার হয়ে পড়েছে।”
এছাড়া সৈকতে আটকে পড়া জেলিফিশ পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, কুয়াকাটা সৈকতের স্বেচ্ছাসেবকরা কিছু কিছু বালি চাপা দিয়ে রাখছে। তবে প্রতিদিন এত পরিমাণ জেলিফিশ আসছে তারা কুলিয়ে উঠতে পারছে না।