অভিযোগ দেওয়ার পর ওই শিক্ষক ভুক্তভোগীর বাবার অফিসে গিয়ে সমঝোতার প্রস্তাব দেন।
Published : 04 Sep 2022, 08:21 PM
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউটের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
গত ২৭ অগাস্ট ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সিভিল উড বিভাগের জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর এজাবুর আলমের (৩৫) বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন বলে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন জানান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি অভিযোগ পাওয়ার পর ৩০ অগাস্ট সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করি। এ কমিটি আমাকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা আছে।
“অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাবো এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগে শিক্ষার্থী বলেন, “ওই শিক্ষক গত দুই মাস ধরে তার ‘এজাবুর আলম’ আইডি থেকে আমার ম্যাসেঞ্জারে নানা রকম প্রলোভন যেমন: আমাকে পরীক্ষায় ভালো নম্বরের ব্যবস্থা করে দিবেন, পরীক্ষায় পাস করিয়ে দিবেন, হোস্টেলে রুমের ব্যবস্থা করে দিবেন বলে কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন কথাবার্তা বলেন। আমাকে প্রতিনিয়ত বিরক্ত এবং ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি তার এই কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে হেনস্তা করার জন্য রীতিমত হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন।”
যোগাযোগ করা হলে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, “আমাকে এই শিক্ষক বহুদিন ধরে নানা রকম কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছেন। আমি বিরক্ত হয়ে গত ২৭ আগস্ট অধ্যক্ষ বরাবর অভিযোগ করি। পরে তিনি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। আমাকে তদন্ত কমিটি ডাকলে আমি গিয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমার সব অভিযোগ খুলে বলি। পরে আমাকে তদন্ত কমিটি জানায়, পরের বার ইন্সস্টিটিউটে গেলে আমি যেন অভিভাবক সঙ্গে নিয়ে যাই।”
“এদিকে শিক্ষক এজাবুর আলম গত ২ সেপ্টেম্বর আমার বাবার অফিসে গিয়ে সমঝোতার প্রস্তাব দেন।”
ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরও এক ছাত্রী অভিযোগ করেছেন; যদিও তিনি প্রতিষ্ঠানকে এ ব্যাপারে লিখিত দেননি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ মতিন বলেন, “আমার কাছে একটিই অভিযোগ এসেছে। ২৭ আগস্টের আগে লিখিত কোনো অভিযোগ আসেনি। লিখিত অভিযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।”
জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর এজাবুর আলম একটি প্রশিক্ষণে এখন জেলার বাইরে রয়েছেন। বক্তব্য জানতে তার ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলে রিসিভ করেননি। পরে খুদে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।