“রাঙামাটি সদরে পাহাড়ধসে ঝুঁকিতে আছে ১ হাজার ৩৬৬ মানুষ। প্রাণহানি এড়াতে জেলায় ৭৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।”
Published : 22 Aug 2024, 08:38 PM
টানা বৃষ্টিতে রাঙামাটির অন্তত ২০টি স্থানে ছোটো-বড় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ঘাগড়ার কলাবাগানসহ বেশ কিছু এলাকায় পাহাড় ধসে প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
পরে সড়ক বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মাটি সরিয়ে যান চলাচল সচল করে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন জানান, জেলায় ছোট-বড় কয়েকটি পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটলেও কোথাও কেউ হতাহত হয়নি।
তবে মহালছড়ি এলাকায় সড়কের পানি থাকায় রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল।
পাহাড়ধসের ঝুঁকি এড়াতে জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে শহরের শিমুলতলী, রূপনগরসহ বেশ কিছু এলাকায় মাইকিং করে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনুরোধ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে।
এদিকে কাউখালী উপজেলার ইছামতি খাল ও কাউখালী খালে পানি বেড়ে ডুবে গেছে আশ্রয়ন প্রকল্পের ২০টি ঘর। বাঘাইছড়ির উপজেলার বন্যা পরিস্থিতিরও অবনতি হয়েছে। আগের দিনের তুলনায় নতুন করে আরও কয়েকটি গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
শহরের রূপনগর এলাকার বাসিন্দা কুলসুমা আক্তার বলেন, “আমার আপাতত কোন সমস্যা নাই। তবুও যদি বৃষ্টি বেশি হয় তাহলে রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে যাব।
“আমাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলেছে। কিন্তু সেখানে থাকা খাওয়ার পরিবেশ ভালো না। তাই যেতে ইচ্ছে করে না।”
শিমুলতলী এলাকার বাসিন্দা আকলিমা বেগম বলেন, “বাড়ির কিছু অংশ বৃষ্টির পানিতে ভেঙে গেছে। আশ্রয়কেন্দ্রে গেলে ঘরে মুরগি, ছাগল আছে এগুলো ফেলে কিভাবে যাব। আবার ঘরে রেখে গেলে চুরি হয়ে যায়। এসব নিয়ে দোটানায় আছি।”
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার বলেন, উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১ হাজার ৬৫৫ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোশারফ বলেছেন, “রাঙামাটি সদরে পাহাড়ধসে ঝুঁকিতে আছে ১ হাজার ৩৬৬ মানুষ। প্রাণহানি এড়াতে জেলায় ৭৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রাণহানি রোধে ঝুঁকি এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে আনতে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।”