টেকনাফ সদরের কাছে নদীতে মিয়ানমারের নিকটবর্তী অংশে দেখা মিলে বড় আকারের জাহাজটির।
Published : 15 Jun 2024, 07:43 PM
টানা তিন দিন ধরে কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের জলসীমায় অবস্থান করা যুদ্ধজাহাজটি শনিবার সকাল থেকে আর দেখা যাচ্ছে না। সেটি সরে গেছে।
পাশাপাশি শুক্রবার সকাল থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আর কোনো বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনতে পাননি টেকনাফ সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।
বঙ্গোপসাগরের দ্বীপ সেন্ট মার্টিন ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও সেন্ট মার্টিন স্পিডবোট ও লাইফবোট সমবায় সমিতির সভাপতি মো. খোরশেদ আলম বলেন, “শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে টেকনাফের নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে জলসীমার মিয়ানমারের অংশে জাহাজটি ছিল। এটি শনিবার সকাল থেকে আর দেখা যাচ্ছে না। রাতের কোনো সময় এটি স্থানগ করেছে।
“একই সঙ্গে শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সীমান্তের ওই পাড় থেকে গোলাগুলি বা বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়নি”, বলেন ইউপি সদস্য।
বুধবার দুপুর থেকে নাফ নদীর টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়ার বিপরীতে মিয়ানমারের নিকটবর্তী দেখা মিলে একটি বড় আকারের জাহাজ। এরপর বুধবার রাত ৯টা থেকে এপারে ভেসে আসতে থাকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ।
এদিন টানা ৩ ঘণ্টা বিকট শব্দ এপারের সীমান্তের লোকজন শোনেছেন। এরপর থেমে থেমে শব্দ শোনা গেছে রাতভর।
বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত আবারও বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শোনা যায়। এদিন সকালের পর সেই বড় ‘যুদ্ধজাহাজটি’ দক্ষিণ দিকে সরে গিয়ে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে অবস্থান করতে দেখা যায়।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, “মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের জেরে সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে অস্থির পরিস্থিতির কারণে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
“এ কারণে সার্ভিস ট্রলারগুলো বিকল্প পথে সেন্ট মার্টিন যাতায়াত করছে। সাগরের ওই পথে পাঠানো হয়েছে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী জাহাজও”, বলেন ইউএনও।