বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মহেশখালী উপকূলবর্তী সাগরে র্যাব সদস্যরা একটি ট্রলার থামানোর নির্দেশ দিলে জলদস্যুরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে।
Published : 26 Jan 2024, 02:45 PM
কক্সবাজারের বঙ্গোপসাগর উপকূলে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গুলিসহ ছয়জনকে আটক করা হয়েছে; যাদের জলদস্যু দাবি করছে র্যাব।
শুক্রবার দুপুরে শহরের বাঁকখালী নদীর ৬ নম্বর জেটিঘাটে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এ কথা জানান।
আটকরা হল-কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশিখালী ইউনিয়েনের মাহমুদ উল্লাহর ছেলে মো. বাদশা (২৭), মুসালিয়া সিকদার পাড়ার রহিম উল্লাহর ছেলে মো. মারুফুল ইসলাম (২২), দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের জুলেখাবিবির পাড়ার মোহাম্মদ ইসমাইলের ছেলে রায়হান উদ্দিন (২২), পেঁচারপাড়ার কবির আহমদের ছেলে এরশাদুল ইসলাম (২০), সাহারুম সিকদার পাড়ার মো. ইউনুছের ছেলে মো. রাফী (১৯) ও চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার নারিকেলতলা এলাকার মো. আবু বক্করের ছেলে মো. আলামিন (২৫)।
সাজ্জাদ জানান, সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন উপকূলে জলদস্যুরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে খবর পায় র্যাব। পরে প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ১০ থেকে ১২ জনের জলদস্যুর একটি দল ট্রলারে করে ২১ জানুয়ারি ডাকাতির জন্য বঙ্গোপসাগরে যায়। পরদিন তারা মাছ ধরার একটি ট্রলারে ডাকাতি করে। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী এক জেলের তথ্যে ২৫ জানুয়ারি থেকে বাঁকখালী নদীর মোহনা ও মহেশখালী উপকূলের মোহনায় অভিযান শুরু করে র্যাব।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মহেশখালী উপকূলবর্তী সাগরে সন্দেহভাজন একটি ট্রলার দেখতে পেয়ে থামার নির্দেশ দেন র্যাব সদস্যরা। এ সময় জলদস্যুরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি করতে শুরু করলে আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি করে র্যাবও। এক পর্যায়ে ডাকাতি হওয়া ট্রলারটি জব্দ করা হয়।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, “ওই ট্রলার থেকে ছয়জন জলদস্যুকে আটক করা গেলেও ৪ থেকে ৫ জন সাগরে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ট্রলারে তল্লাশি করে এবং আটকদের কাছ থেকে দেশীয় তিনটি বন্দুক, ১৩টি গুলি ও তিনটি দা উদ্ধার করা হয়।”
আটকদের বরাতে কর্নেল সাজ্জাদ বলেন, পেকুয়া উপজেলার নুরুল আবছার ওরফে বদু, জালাল আহমদ ও কুতুবদিয়া উপজেলার মো. ইসহাক ওরফে ইসহাক মেম্বার নিজেদের মালিকাধীন ট্রলারে করে এক সপ্তাহ আগে তাদের সাগরে ডাকাতির উদ্দেশ্যে পাঠান।
পরে আইনশৃংখলা বাহিনীকে বিভ্রান্ত করতে জলদস্যুরা পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী এলাকার ‘কালু কোম্পানির’ মালিকাধীন একটি ট্রলার জেলেদের মারধর করে নিজেদের কব্জায় নেয়।
পরে তারা নিজেদের ট্রলারটি সাগরে নিরাপদ স্থানে রেখে কালু কোম্পানির ট্রলার নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি শুরু করে বলে র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান।
তিনি বলেন, আটক জলদস্যুদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় নতুন করে মহেশখালী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।