তবে সংসদ সদ্যস্যের ছেলেও নির্বাচনে থাকবেন কিনা তা জানা যায়নি।
Published : 19 Apr 2024, 01:07 AM
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লিটন ভোটের মাঠ থেকে সরে না দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ভাই।
উপজেলা নির্বাচনে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের স্বজন-সন্তানরা প্রার্থী হতে পারবেন না আওয়ামী লীগের এমন ঘোষণার মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিটন এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “এমপির স্বজন ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না এমন নির্দেশ পাইনি। আমি ভোটে সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েছি।
“আগের এমপি আব্দুল মান্নান ছিলেন আমার ভগ্নিপতি, এখন আমার বোন এমপি। আমি আমার যোগ্যতায় নৌকা প্রতীক নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছি। এমপি আমার বোন হতে পারেন; আমি আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে ভোট করবো। সরে দাঁড়াবো না। বোন এমপির পরিচয়ে ভোট করব না”, বলেন লিটন।
প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে বগুড়ার তিন উপজেলায় নির্বাচন হবে। এর মধ্যে সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের আসন সারিয়াকান্দী এবং সোনাতলা উপজেলা রয়েছে।
এবার উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় কোনো প্রার্থী দিচ্ছে না। সবাইকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে হচ্ছে।
কিছুদিন আগে সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান নিজের ভাই লিটন ও ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সজলকে প্রার্থী করার ঘোষণা দেন।
এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সাংবাদিকদের বলেন, কেউ যাতে নির্বাচনি পরিবেশ ‘নষ্ট না করে’সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে ‘কঠোর’ নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
নাছিম বলেন, “আজকে আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভাই, দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকদের সাংগঠনিকভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, যেন আওয়ামী লীগের দলীয় এমপি মন্ত্রীর আত্মীয়স্বজনদের বলে দেয়, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশ না নেওয়ার জন্য। এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ।"
এর পরই বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে আলোচনা তৈরি হয়।
তবে এ ব্যাপারে জানতে সাহাদারা মান্নানের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি।
সাহাদারা মান্নানের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সজলকে মোবাইলে কল করলে তিনিও রিসিভি করেননি।