প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
Published : 09 Dec 2024, 05:55 PM
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা হিমালয়কন্যা খ্যাত পঞ্চগড়ে শীতের প্রকোপ বাড়ছে। ভোরে কুয়াশা না থাকলেও হিমেল বাতাসে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। গ্রাম অঞ্চলের হতদরিদ্ররা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে মুড়িয়ে রয়েছে উত্তরের এ জেলা। সোমবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বলেন, “সোমবার তাপমাত্রা কমে ১০ ডিগ্রির ঘরে এসেছে। রোববার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। তার আগে শনিবার রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।”
সোমবার ভোরে জেলায় রক্তিম আভা নিয়ে জেগে ওঠে সূর্য। প্রকৃতি জুড়ে জড়িয়ে রয়েছে হালকা কুয়াশা। ঝিরঝির করে বইছে হিমেল বাতাস। প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তবে জীবিকার তাগিদে কাজে নিম্ন-আয়ের মানুষদের বের হতে দেখা গেছে।
পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর, কৃষক-কৃষাণীরা আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এদিকে শীতের কারণে বেড়েছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগ। পঞ্চগড় সদর হাসপাতালসহ উপজেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে রোগীর ভিড়। শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শীতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে চিকিৎসকরা চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী বলেন, “এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে দুই হাজার কম্বলের বরাদ্দ পেয়েছি। তা বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে।”