শনিবার দুপুরের দিকে দুই বন্ধু তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়।
Published : 15 Apr 2025, 08:22 PM
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে মিলল অপহৃত এক কিশোরের লাশ।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার এলাকায় একটি পরিত্যক্ত শৌচাগারের ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম জানান।
নিহত মো. সাব্বির (১৬) উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী ছেলে।
সে স্থানীয় বিশুবাড়ি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলেন, একই গ্রামের রবিউল ইসলাম (১৮) ও পাশের বিশুবাড়ি গ্রামের আব্দুল আলিম (১৮), একই এলাকার কবিরুল ইসলাম (৩৫) ও শালমারা ইউনিয়নের তরফকামাল গ্রামের ইউনুস আলী (৩৫)।
এর আগে শনিবার সাব্বিরকে অপহরণ করার কথা জানিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন তার স্বজনরা।
অভিযোগে বলা হয়, শনিবার বেলা ৩টার দিকে সাব্বিরের দুই বন্ধু রবিউল ইসলাম ও আব্দুল আলিম বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি।
পরিবারের লোকজন রবিউল ও আলিমের বাড়ি গিয়ে সাব্বিরের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
রবিউল ও আলিম দাবি করেন, তারা তিন বন্ধু উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাজার এলাকায় যাচ্ছিলেন।
পথে গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে আগে থেকে ওতপেতে থাকা ইউনুস আলীসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন তাদের কাছ থেকে জোর করে সাব্বিরকে একটি মাইক্রো বাসে তুলে নিয়ে যায়।
অভিযোগে আরো বলা হয়, রবিউল ও আব্দুল আলিম টাকার বিনিময়ে সাব্বিরকে ওতপেতে থাকা ইউনুস আলীর হাতে তুলে দিয়েছে।
বিষয়টি ওই দুই যুবক সাব্বিরের পরিবারের কাছে স্বীকার করেছেন।
পরে সাব্বিরের পরিবারের লোকজন পুলিশে খবর দিলে রবিউল ও আলিমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, সাব্বির অপহরণের অভিযোগ পাওয়ার পর তার পরিবারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রবিউল ও আলিমকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কবিরুলও আটক হন। এছাড়া অপহরণকারী ইউনুস আলীকে মঙ্গলবার ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সাব্বিরের বাবা মোহাম্মদ আলী অভিযোগ করে বলেন, “আমার ছেলেকে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।”