হতাহতরা নাফ নদীতে কাঁকড়া আহরণ করতে যান। তারা মিয়ানমারের লালদিয়া চরে চলে গিয়েছিলেন।
Published : 08 Jul 2024, 01:57 AM
কক্সবাজারে টেকনাফের নাফ নদীতে কাঁকড়া আহরণের সময় মাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা নিহত এবং দুইজন আহত হয়েছেন।
রোববার বেলা দুপুর আড়াইটায় টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের লালদিয়া চরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন নৌ-পুলিশের টেকনাফ স্টেশনের ইনচার্জ পরিদর্শক তপন কুমার বিশ্বাস।
নিহত মো. জোবায়ের টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় বসবাসকারী আব্দুল হামিদের ছেলে।
আহতরা হলেন, হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকার নুর কামালের ছেলে শাহ আলম এবং দমদমিয়া বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকার মো. মেস্তরির ছেলে মো. শুক্কুর।
নৌ-পুলিশ জানিয়েছে, হতাহতরা দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পের বাইরে বনবিভাগের সরকারি জায়গায় বসবাস করে আসছিলেন।
পুলিশ কর্মকর্তা তপন কুমার বলেন, রোববার বেলা ১২ টার দিকে শাহ আলম, জোবায়ের ও শুক্কুর জাদিমুরা এলাকায় নাফ নদীতে কাঁকড়া আহরণ করতে যান। তারা নাফ নদীর শূন্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের লালদিয়া চরে চলে যান।
কাঁকড়া ধরার এক পর্যায়ে কাঁদা মাটিতে পুঁতে রাখা মাইনটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন আহতরা।
পরে তারা আহত অবস্থায় পানিতে ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের জলসীমার পৌঁছান।
নৌ-পুলিশের এ পরিদর্শক বলেন, “তীরে পৌঁছার পর আহতদের মধ্যে শাহ আলম ও মো. শুক্কুর বাড়ি ফিরে আসলেও আঘাত গুরুতর হওয়ায় মো. জোবায়ের নদীর তীরেই রয়ে যান। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে বাড়ি নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে সেখানেই সে মারা যায়।”
আহত দুইজনকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান।
অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া মো. শুক্কুরকে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিস্ফোরণে জোবায়ের এর ডান পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে গোড়ালি পর্যন্ত উড়ে গেছে। তার বাম পায়ের কিছু স্থানেও ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।
শাহ আলম ও শুক্কুরের শরীরেরও বিভিন্ন স্থানে আঘাত লেগেছে।