জামিন আবেদনের শুনানির জন্য দুই নেতাকে কুষ্টিয়া কারাগার থেকে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আমলি আদালতে তোলা হয়।
Published : 11 Mar 2025, 09:51 PM
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে জামিন আবেদনের শুনানির জন্য দুই নেতাকে কুষ্টিয়া কারাগার থেকে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আমলি আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে বিচারক মাহমুদা সুলতানা জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দুজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শুনানির সময় এজলাসের কাঠগড়ায় হাতকড়া পরিয়ে রাখায় পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়ান জাসদ সভাপতি ইনু। এ সময় তিনি আদালতের দৃষ্টিও আকর্ষণ করেন। এতে সেখানে কিছুটা হট্টগোলের পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীরা জানান।
আসামিপক্ষের আইনজীবী তানজিলুর রহমান এনাম বলেন, “ইনু ও জর্জকে প্রিজন ভ্যানে করে কড়া নিরাপত্তায় কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। এরপর আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলায় এজলাস কক্ষের কাঠগড়ায় তোলা হয়। এ সময় ইনু ও জর্জের হাতে হাতকড়া পরানো ছিল।
“হাতকড়া পরানো অবস্থায় কাঠগড়ায় উঠানো নিয়ে ইনু ও জর্জ পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এতে মৃদু হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। কাঠগড়ায় হাতকড়া পরিয়ে রাখার আইনি বৈধতা নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন জর্জ ও ইনু।”
আইনজীবী বলেন, “এ সময় ইনুর হাতকড়া খুলে দেয় পুলিশ। তবে জর্জের হাতকড়া পুলিশ খুলে দিতে গেলে তিনি খুলতে দেননি।”
শুনানি শেষে দুপুর সোয়া ২টার দিকে আদালত থেকে তাদেরকে প্রিজন ভ্যানে কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় কড়া নিরাপত্তা ছিল। এদিন আদালত চত্বরে প্রচুর জাসদ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ভিড় করেছিলেন।
মামলার বরাতে পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া মডেল থানায় শহরের আমলাপাড়ার বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। মামলায় বিগত সরকারের নেতাকর্মীসহ ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭০-৮০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার ৩৩ নম্বর আসামি সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ এবং ৩৭ নম্বর আসামি হাসানুল হক ইনু।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম জানান, হাসানুল হক ইনু এবং সেলিম আলতাফ জর্জ ঢাকায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ঢাকা থেকে এনে হত্যাচেষ্টা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুজনই আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেছিলেন। আদালত তা নামঞ্জুর করেছেন।