নৌ পুলিশ ৭২ জন, সদর উপজেলা টাস্কফোর্স পাঁচ জন ও হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্স ১১ জনকে আটক করে।
Published : 27 Oct 2023, 12:03 PM
চাঁদপুরের মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় নৌ পুলিশ, সদর ও হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্সের পৃথক অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮ জেলেকে আটক করা হয়েছে।
এর মধ্যে নৌ পুলিশ ৭২ জন, সদর উপজেলা টাস্কফোর্স পাঁচ জন ও হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্স ১১ জনকে আটক করে।
শুক্রবার সকালে নৌ পুলিশ চাঁদপুর সদর থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নৌ পুলিশ মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৭২ জনকে আটক করে।
এর মধ্যে দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা, অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় ১০ জনকে। বাকী ৪৫ জেলের বিরুদ্ধে ১৪টি নিয়মিত মামলা করা হয়।
তিনি আরও জানান, অভিযানে জব্দকৃত ৬৭২ কেজি ইলিশ স্থানীয় এতিমখানা ও গরিবদের মাঝে বিতরণ, ৫ লাখ মিটার কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং ২৬টি মাছ ধরার নৌকা নৌ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
এদিকে, চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম জানান, মেঘনা নদীর সদর এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় আটক পাঁচ জেলের মধ্যে তিন জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৮ দিন করে কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুন্নাহার এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক দু’জনকে মুচলেকা রেখে পরিবারের জিন্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
অভিযানে জব্দকৃত ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং তিন কেজি ইলিশ স্থানীয় দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
অপরদিকে, হাইমচর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাহবুব রশীদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাইমচরে ১১ জেলেকে আটক করা হয়। এর মধ্যে পাঁচ জেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৭ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চাই থোয়াইহলা চৌধুরী।
বাকী ছয় জনের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলা করে কারাগারে পাঠানো হয়।
জব্দকৃত ৪৭ হাজার মিটার কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং ৫০ কেজি ইলিশ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ। এছাড়া মাছ ধরার একটি নৌকা উপজেলা টাস্কফোর্সের হেফাজতে রয়েছে।
এসব অভিযানে সহযোগিতা করেন কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশ।