সিঙ্গাপুর প্রবাসী নারায়ণগঞ্জের এক বাসিন্দাকে হত্যায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন নিহতের চাচাতো ভাইয়ের শ্যালক।
পুলিশের দাবি, শুক্রবার সৌদি আরবে পালানোর সময় গ্রেপ্তার হন নিহতের চাচাতো ভাই কামরুলের শ্যালক তানিম মিয়া (২০)।
গ্রেপ্তার তানিম বরিশালের মুলাদী উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের খোরশেদ মীরের ছেলে।
গত ১১ অক্টোবর সন্ধ্যায় মুলাদী উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদী থেকে হাত-পায়ে ইট বাঁধা নুরুল আমিনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে নৌপুলিশ।
নুরুল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার চরবক্তাবলী উপজেলার লক্ষ্মীনগর গ্রামের পিয়ার আলী ফকিরের ছেলে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার তানিমকে আদালতে নেওয়া হলে তিনি জবানবন্দি দেন বলে জানান মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক প্রদীপ কুমার মিত্র।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় তানিম মিয়া বরিশাল বিচারিক হাকিম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
প্রদীপ মিত্র আরও জানান, হত্যার শিকার নুরুল আমিন ও তার চাচাতো ভাই কামরুল সিঙ্গাপুর থাকতেন। নুরুল দেশে ফিরে এসে খুন হন।
নৌপুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ১১ অক্টোবর মুলাদীর নাজিরপুর ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদীর সাহেবের চর এলাকায় ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পরদিন নাজিরপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির এসআই আবুল কালাম হাওলাদার বাদী হয়ে মুলাদী থানায় মামলা করেন।
দেশের বিভিন্ন থানায় সংবাদ পাঠিয়ে লাশের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা হয়। কিন্তু শনাক্ত না হওয়ায় বেওয়ারিশ হিসেবে বরিশালেই নূরুল আমিনের লাশ দাফন হয়।
১৪ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় নুরুল আমিনের বোন সনিয়া আক্তারের জিডির পরিপ্রেক্ষিতে লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়।
কামরুল সিঙ্গাপুরে এবং তানিম দেশেই আত্মগোপনে থেকে সৌদি আরব পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে ওই নৌপুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক প্রদীপ কুমার মিত্র জানান।