চার দিন ধরে তাপমাত্রা কম থাকার পর কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও কমেনি শীতের প্রকোপ।
Published : 06 Jan 2025, 07:54 PM
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে হিমশীতল বাতাস অব্যাহত রয়েছে। চার দিন ধরে তাপমাত্রা কম থাকার পর কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও কমেনি শীতের প্রকোপ। দিনে ঝলমলে রোদ পড়লেও, রাতে নামে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা।
গত চার দিন ধরে তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠানামা করছে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কেটে যাওয়ায় সোমবার ভোরে মেঘলা আকাশে ঝলমলে রোদ দেখা যাওয়ায় শীতের তীব্রতা কিছুটা কমেছে। জনমনে ফিরেছে স্বস্তি।
সোমবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা রোববার সকাল ৯টায় ছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি।
জেলা সদরসহ আশপাশের উপজেলাগুলোতে কয়েক দিনের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও কমেনি শীতের তীব্রতা। রাত ও সকালে হিমালয় দিয়ে বয়ে আসা হিমেল বাতাসের কারণে শীত অব্যাহত রয়েছে। কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।
গেল চার দিনে শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন বাড়ছে শীতজনিত রোগী। যাদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভোরে কুয়াশা মাখা আকাশে দেখা গেছে পূবালী সূর্য। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় কমেছে শীতের তীব্রতা। ঝলমলে রোদ থাকায় সকাল থেকেই দেখা গেছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশাজীবীদের কর্মচাঞ্চল্য। যে যার মত কাজে ছুটেছেন।
তবে সন্ধ্যার পর হিমেল বাতাসে বাড়তে থাকে শীতের প্রকোপ। রাত ৯ থেকে ১০টার পর শহরের হাটবাজারগুলোতে কমতে থাকে জন কোলাহল।
বোদা উপজেলার নয়াদিঘী গ্রামের কৃষক নুরনবী বলেন, “ভোরেই দেখা মিলছে সূর্যের। আগের সকালে খুব যে ঠান্ডা লাগত সেটা নেই। যার কারণে কাজ করতে সুবিধা হয়েছে। তবে রাতে মনে হয় তাপমাত্রা জিরোতে নেমে আসে। পায়ের তলার মাটিও বরফের মত লাগে। এমন ঠান্ডা সহ্য করা যায় না।”
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, কয়েকদিনের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত কয়েক দিন থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। হিমালয়ের কাছাকাছি এই জেলার অবস্থান হওয়ায় এখানে অন্যান্য এলাকা থেকে বেশি শীত পড়ে। মৌসুমের এ সময় তাপমাত্রা অনেক কম থাকে। সামনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।