অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গরু লুটের ঘটনায় পুরো উপজেলার ছোট-বড় খামারিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
Published : 11 Jun 2024, 07:23 PM
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে খামার কর্মীদের বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা ১০টি গরু ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার গভীর রাতে উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের পুজকরা গ্রামে ‘মায়ের দোয়া’ ইটভাটার ভেতরে গরুর খামারে এ ঘটনা ঘটে বলে নাঙ্গলকোট থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন খামারের মালিক আনোয়ার হোসেন।
ওই অভিযোগ থেকে জানা গেছে, খামারের দায়িত্বে থাকা ফরিদুল ইসলাম ও রুহুল আমিন প্রতিদিনের মত সোমবার রাতে গরুগুলোকে খাবার দিয়ে ঘুমাতে যান। রাত ২টার দিকে ১০-১৫ জনের মুখোশ পরা ডাকাত পিস্তল, চুরি ও হকিস্টিক নিয়ে ইটভাটায় প্রবেশ করে পাহারাদার নুরে আলমের হাত-পা বেঁধে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে দেন। পরে ডাকাতদল খামারে প্রবেশ করে ফরিদুল ও রুহুলকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে জিম্মি করে তাদের হাত-পা বেঁধে মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে দিয়ে খামার থেকে একে একে ১০টি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে লুটে নিয়ে যায়।
মঙ্গলবার ভোরে কামাল নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শ্রমিকদের এ অবস্থা দেখে খামার মালিক আনোয়ার হোসেনকে ফোনে জানান।
আনোয়ার দ্রুত খামারে এসে কর্মীদের হাত-পায়ের বাঁধন খুলে দেন।
তিনি জানান, বড় ও মাঝারি আকৃতির এসব গরু কোরবানির পশুর হাটে তোলার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল।
এদিকে, অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গরু লুটের ঘটনায় পুরো উপজেলার ছোট বড় প্রায় ২ হাজার খামারির মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কোরবানির ঈদকে ঘিরে সম্প্রতি নাঙ্গলকোটে গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বাড়ানোর দাবি জানান খামারিরা।
উপজেলা আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ইউছুফ কোম্পানি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ইটভাটার ভেতরে খামার করে গরু ব্যবসা করে আসছেন আমার ভাই আনোয়ার। সোমবার রাতে খামার কর্মীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১০টি গরু লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। এছাড়া কোরবানির ঈদকে ঘিরে নাঙ্গলকোটে গরু চুরি বেড়ে গেছে।”
তাই রাতে টহল পুলিশের দায়িত্ব বাড়ানোসহ গরুগুলো উদ্ধারের দাবি জানান ইউপি চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। গরুগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।”