পৌষ মাসের শেষের দিকে এসে জেলায় একদিনেই তাপমাত্রা ৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে।
Published : 14 Jan 2025, 11:20 AM
দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড় আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৯ ডিগ্রির ঘরে নেমে গেছে। কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
হিমালয়ের কোলঘেঁষা এই জেলায় হালকা কুয়াশায় আবৃত হয়ে থাকছে চারদিক। সকালে সূর্যের দেখা মিললেও রোদের তেমন তাপ নেই।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায়।
তিনি জানান, পৌষ মাসের শেষের দিকে এসে জেলায় একদিনেই তাপমাত্রা ৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে। আগের দিন সোমবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকালে পঞ্চগড় শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশা ভেদ করে উঁকি দিয়েছে সূর্য। প্রচণ্ড ঠান্ডা উপেক্ষা করে সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রমজীবীদের মাঝে প্রতিদিনির মত কর্মচাঞ্চল্য দেখা গেছে।
জেলার বোদা উপজেলার সাকায়ো ইউনিয়নের স্কুল শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, “ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কিছুটা কমে যাচ্ছে এই উত্তরের জনপদে। সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি।
“উত্তরের এ জেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার বিধৌত এলাকা হওয়ায় অন্যান্য জেলার আগেই এ অঞ্চলে শীতের আগমন ঘটে এবং নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতের দাপট বেশি হয়ে থাকে।”
অপরদিকে দিনমজুর, চা ও পাথর শ্রমিকরা শীতের তীব্রতায় ঠিক মত কাজও করতে পারছে না। ফলে আয় কমেছে তাদের।
জেলার আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের সাতখামার গ্রামের দিনমজুর শাহিনুর ইসলাম বলেন, ঠান্ডায় ঠিকমতো কাজ করতে না পারায় তার পরিবারে অভাব-অনটন দেখা দিয়েছে।
এদিকে পঞ্চম বারের মতো মৃদু শৈত্য প্রবাহের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধারা। প্রতিনিয়তই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড়ে । ফলে আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায়। সামনের দিকে এ তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।