নদটি খনন করে নাব্যতা ফেরানোর দাবি জানিয়েছে ময়মনসিংহবাসী।
Published : 06 May 2024, 08:56 PM
এক সময়ের খরস্রোতা ব্রহ্মপুত্র নদ এখন অস্তিত্ব সংকটে। পুরো নদ যেন ধু-ধু বালুচর। কোনো কোনো স্থান দিয়ে হেঁটে কিংবা মোটরসাইকেলে পার হচ্ছেন মানুষ। এ অবস্থায় খননের পাশাপাশি দখলমুক্ত করে ব্রহ্মপুত্রকে রক্ষার দাবি জানিয়েছে ময়মনসিংহবাসী।
‘দখল ঠেকাও, ব্রহ্মপুত্র বাঁচাও’ স্লোগানে সোমবার দুপুরে নগরের কাচারিঘাটে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলন নামের একটি সামাজিক সংগঠন।
সংগঠনটির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় এতে কবি শামসুল ফয়েজ, কবি সাঈদ ইসলাম, কবি সরকার আজিজ, কবি এহসান হাবীব, আহমেদ রেদওয়ান, লোকমা সৃজন এবং মঞ্জুরুল আলম রুমি বক্তব্য দেন।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আমাদের চোখের সামনে ব্রহ্মপুত্রকে মেরে ফেলা হচ্ছে। তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কয়েক কিলোমিটার প্রশস্ত নদীকে ১০০ মিটারে নামিয়ে খনন শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় খনন শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
“আরও অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ব্রহ্মপুত্রের বুক চরে ভরে গেছে৷ হেঁটে পার হওয়া যায়, মাঝখান দিয়ে মোটরসাইকেলও চলছে।”
ব্রহ্মপুত্রের মাঝখানে দখলের প্রক্রিয়া চলছে দাবি করে তিনি বলেন, “কাচারিঘাটে হিজড়াদের জন্য একটি ক্যাফে তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রকে মেরে ফেলার জন্য সরকারি, বেসরকারি ও ভূমিদস্যুদের সম্মিলিত প্রয়াস চলছে।”
দখলমুক্ত ও বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে নদটি খনন করে ব্রহ্মপুত্রের নাব্যতা ফেরানোর দাবি জানান সামাজিক সংগঠনের এই নেতা।
ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, “হিজড়ারা বিভিন্ন স্থানে মানুষের কাছ থেকে টাকা তোলার চেয়ে তাদের অস্থায়ীভাবে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে একটি ক্যাফে তৈরি করে দেওয়ার চিন্তা ভাবনা হচ্ছে। এতে নদ দখলের কোনো সুযোগ নেই। খনন কাজের অগ্রগতি নিয়ে কাজ করছি।”
প্রায় পাঁচ বছর আগে শুরু হওয়া ব্রহ্মপুত্রের খনন প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কাজ হয়েছে মাত্র ২৬ শতাংশ। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পটির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে।