অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আমরা হত্যাকারী তিন জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।”
Published : 11 May 2024, 11:15 PM
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে নিরাপত্তা কর্মী হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বন্ধ কারখানাটির মালিকের সঙ্গে পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
শনিবার বিকালে শ্রীনগর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল হোসেন সরকার বলেন, “লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আমরা হত্যাকারী তিন জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।”
তাদের মধ্যে শনিবার ভোর রাতে মাদারীপুর থেকে শহিদুল ইসলাম লিটন (৪০) ও জাবেদ হোসেনকে (৪৩) এবং মাগুরা থেকে রতন হোসেনকে (৩৪) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শহিদুল ইসলাম লিটনের বাড়ি শরিয়তপুরের জাজিরার সেনেরচর বড় গোপালপুর এলাকায়। তার বাবার নাম হালিম মাতুব্বর। তিনি কেরাণীগঞ্জের বেড়া তেঘরিয়া এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন।
রতন হোসেন জাজিরা থানার নিঝুক মার্কেট এলাকার বাসিন্দা। জাবেদ মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার দ্বিতীয়খন্ড মাদবর বাড়ী এলাকার রশিদ মাদবরের ছেলে।
এর আগে শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের সুরদিয়া গ্রামের লিজেন্ড স্টিল রি রোলিং মিল থেকে নিরাপত্তা কর্মীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। কারখানাটির ভেতরে একটি চেয়ারে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল বলেন, লাশ উদ্ধারের পরই সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে পুলিশ।
“সিসিক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর একটি সিএনজি অটোরিকশা মিলের সামনে এসে থামে। এ সময় শহিদুল, রতন ও জাবেদ নিরাপত্তা কর্মী আব্দুল কুদ্দুসকে ডেকে তোলে। পরে রাতের কোনো একসময় তারা কুদ্দুসকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।”
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার এই হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, শহিদুল ইসলাম লিটন মিলটিতে কাঁচামাল সরবরাহ করতেন। মিলের মালিক মাহাথির উদ্দিন রাতুলের কাছে শহিদুলের টাকা পাওনা হয়। কিন্তু বেশ কয়েকবার তাগিদ দিয়েও টাকা না পাওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে গ্রেপ্তাররা পেশাদার ক্রিমিনাল। তাদের মধ্যে রতন লালসালু কাপড় পরে বিভিন্ন সময় ছদ্মবেশ ধারণ করে মাজারে মাজারে ঘুরে বেড়ায়।”
শ্রীনগর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মাজেদা বেগম বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার জন্য রোববার আসামিদের আদালতে পাঠানো হবে বলে ওসি জানান।
পুরানো খবর