সকালে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভের এক পর্যায়ে তত্ত্বাবধায়ক নিজ কার্যালয় ছেড়ে চলে যান।
Published : 16 Nov 2024, 08:03 PM
শেরপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে কর্মস্থল থেকে চলে গেছেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সেলিম মিঞা।
শনিবার সকালে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভের এক পর্যায়ে সবার অগোচরে কার্যালয় ছেড়ে তিনি চলে গেছেন বলে দাবি করেন আন্দোলনকারীরা।
শেরপুরের সাবেক সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন ছানু এবং সাবেক হুইপ আতিউর রহমান আতিকের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত চিকিৎসক সেলিম মিঞা নেত্রকোণায় সিভিল সার্জন হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
জুলাইয়ে সেলিম মিঞা শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে যোগদান করেন।
অভিযোগ রয়েছে, স্বাচিপ নেতা সেলিম মিঞা নিজ জেলায় যোগদানের পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তার বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা, রোগীদের বিভিন্ন প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া, আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে চাকরি থেকে বের করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এসব ঘটনার প্রতিবাদে বেলা সোয়া ১১টার দিকে শহরে কয়েকশ ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল করে তত্ত্বাবধায়কের অপসারণ দাবি করেন। পরে আন্দোলনকারীরা তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
পরিস্থিতির অবনতি দেখে সেলিম মিঞা কৌশলে হাসপাতাল থেকে চলে যান। পরে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে সদর হাসপাতাল গেইটে এসে শেষ করেন।
এ বিষয়ে সেলিম মিঞা মোবাইলে বলেন, “ছাত্র-জনতা নয়, বিএনপির কিছু লোক আমার কার্যালয়ে এসে অফিস থেকে চলে যেতে বলেন। তারা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হযরত আলীর সঙ্গে দেখা করতে বলেন। পরে আমি বাড়ি চলে আসি। আমি পালিয়ে আসিনি।”
স্বাস্থ্য বিভাগের ময়মনসিংহের বিভাগীয় পরিচালক শাহ আলী আকবর আশরাফী বলেন, “অ্যাডিশনাল সেক্রেটারিকে বিষয়টি টেলিফোনে জানিয়েছি।”
স্বাস্থ্য বিভাগকে স্বচ্ছ এবং সেবামূলক রাখতে ফ্যাসিবাদী কাউকে দায়িত্বে রাখা হবে না বলে জানান তিনি।