সিলেটের বাড়িতে প্রবাসীদের মৃত্যুর কারণ বিষ: পুলিশ

ভিকটিমের নিকটাত্মীয়দের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

মঞ্জুর আহমেদসিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 July 2022, 11:05 AM
Updated : 26 July 2022, 11:05 AM

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার এক বাড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার একই পরিবারের পাঁচ যুক্তরাজ্য প্রবাসীর মধ্যে দুজনের মৃত্যু বিষে হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরের দিকে উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের একটি ভাড়া বাসার কক্ষ থেকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর দুজনের মৃত্যু হয়েছে; আরও দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

নিহতরা হলেন- উপজেলার বড়দিরারাই এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে পঞ্চাশোর্ধ্ব রফিকুল ইসলাম এবং তার ছেলে মাইকুল ইসলাম (১৮)।

আহতরা হলেন- রফিকুলের স্ত্রী হোসনে আরা ইসলাম (৪০), তাদের মেয়ে সামিরা ইসলাম (১৯) ও ছেলে সাদিকুল ইসলাম (২১)। সবাই সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনার পর পরই তাজপুর এলাকার ঝলক সাহার ওই বাড়িতে যান সিলেট জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিনসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তারা বাসার অন্যান্য বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।

পরে পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “সার্বিকভাবে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, এটা একটা পয়জনিংয়ের ঘটনা ঘটতে পারে।”

“ঘরে যারা ছিলেন, ভিকটিমের নিকটাত্মীয়; তাদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, রাতের খাওয়া-দাওয়ার পর তারা যখন ঘুমিয়ে পড়েন, তারপরে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এটা তদন্তের বিষয়। পয়জনিংটা হলো কীভাবে? কীভাবে উনারা মারা গেলেন। আমরা তদন্ত শেষে এটা বলতে পারব।”

“কিন্তু আপাত দৃষ্টিতে, এটা বিষপাণে হত্যার ঘটনা মনে হচ্ছে।”

পুলিশ জানায়, পরিবারের সবাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী। এ মাসেই তারা এখানে আসে। তাদের বাড়ি ওসমানীনগরে। পরিবারের একটি ছেলে অসুস্থ ছিল। চিকিৎসার সুবিধার্থে তারা এই বাসাটি ভাড়া নেয়। এবং ১৮ জুলাই থেকে তারা এই বাসায় ভাড়া থাকতে শুরু করেন।

রফিকুল ইসলামের শ্বশুর-শাশুড়ি এবং শ্যালকরা এই বাসায় ছিলেন। তাদের সঙ্গেই একটি কক্ষ ভাড়া নেন রফিকুল।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ফরিদ উদ্দিন আরও বলেন, গতকাল রাতে খাওয়া-দাওয়ার পরে সবাই এক কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার দিকে আত্মীয়রা সেই দরজা খোলার চেষ্টা করেন। কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে দরজা বন্ধ পায়। দরজা ভেঙে অচেতন অবস্থায় পাঁচজনকে উদ্ধার করে।

“তাদের হাসপাতালে নেওয়ার পর বাবা ও ছোট ছেলে-এই দুজনকে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে চিকিৎসক আমাদের জানিয়েছে। আর মা ও মেয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের আইসিইউতে হস্তান্তর করা হয়েছে। ছেলে সাদিকুল চিকিৎসাধীন।”

আরও পড়ুন:

Also Read: সিলেটে অচেতন ৫ প্রবাসীকে উদ্ধারের পর দুজনের মৃত্যু