কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে গুলিতে ‘আরসা কমান্ডার’ নিহত

এপিবিএন জানায়, গোলাগুলির পর একটি ঘর থেকে একজনের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 April 2023, 01:15 PM
Updated : 11 April 2023, 01:15 PM

কক্সবাজারের উখিয়ায় একটি রোহিঙ্গা শিবিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলির মধ্যে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন, যাকে ‘আরসা কমান্ডার’ বলছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-এপিবিএন।

এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ জানান, মঙ্গলবার সকালে পালংখালী ইউনিয়নের এই ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ আরসার তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নিহত আব্দুল মজিদ ওরফে লালাইয়া (৩৫) উখিয়ার তানজিমারখোলা ১৩ নম্বর আশ্রয় শিবিরের ই-৩ ব্লকের বাসিন্দা নুরুল আমিনের ছেলে।

তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে বলে এপিবিএন জানিয়েছে। 

রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এএসপি মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ জানান, সকালে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের এ-৮ ব্লকে এ ঘটনার পর তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এরা হলেন উখিয়ার ঘোনারপাড়া ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের এ-১৭ ব্লকের মৃত ছৈয়দ হোসেনের ছেলে জামাল হোসেন (২০), একই ক্যাম্পের এ-৮ ব্লকের কাশেম আলীর ছেলে মোহাম্মদ তাহের (৪৫) ও মোহাম্মদ সলিমুল্লাহর ছেলে লিয়াকত আলী (২৫)।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ ও ডাকাতিসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে জানায় পুলিশ।

তাৎক্ষণিকভাবে আহত পুলিশ সদস্যদের নাম জানা সম্ভব হয়নি।

এএসপি ফারুক আহমেদ বলেন, সকালে উখিয়ার ঘোনারপাড়া ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের এ-৮ ব্লকে আমিন মাঝির বসতঘরের আশপাশে কয়েকটি ঘরে কতিপয় অস্ত্রধারী লোক অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে এপিবিএনের একটি দল অভিযান চালায়।

“এক পর্যায়ে সন্দেহজনক কয়েকটি ঘর ঘিরে ফেললে হামিদা বেগমের বসতঘর এবং আশপাশের গলি ও পাহাড় থেকে ৪০ থেকে ৫০ জন আরসা সন্ত্রাসী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে।

“এতে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে আরসার সদস্যরা বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যায়। ঘটনায় এপিবিএনের তিন সদস্য আহত হয়েছেন।”

তিনি বলেন, পরে হামিদা বেগমের বসতঘর থেকে ‘আরসার তিন সন্ত্রাসীকে’ গ্রেপ্তার এবং পাশের একটি কক্ষ থেকে একজনের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলে দেশে তৈরি একটি বন্দুক ও দুইটি গুলি পাওয়া যায়।

এএসপি ফারুক আরও বলেন, নিহত আরসার কমান্ডার আব্দুল মজিদ রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে সংঘটিত চারটি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এ ছাড়া গ্রেপ্তার রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।

লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ফারুক আহমেদ।