পহেলা বৈশাখের সকালে শোভাযাত্রার প্রচলন যশোরে শুরু হয় ১৯৮৫ সালে।
Published : 15 Apr 2024, 12:36 AM
বর্ণিল আয়োজনে যশোরে বরণ করে নেওয়া হল ১৪৩১ বঙ্গাব্দকে। ঢাক-ঢোল আর সুরের মূর্ছনায় মুখর হয়ে ওঠে বছরের প্রথম সকাল।
এ উপলক্ষে রোববার সকাল ৯টায় যশোর টাউন হল ময়দান থেকে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন।
নাচ-গানে মুখর শোভাযাত্রায় বিভিন্ন সাজে অংশ নেয় নানা বয়সের নারী-পুরুষ ও শিশু। শোভা পায় বৃহৎ আকারের পেঁচা, ফড়িং, কৃষক-কৃষাণীসহ বিভিন্ন মুখোশ ও মুকুট।
পহেলা বৈশাখের সকালে শোভাযাত্রার প্রচলন যশোরে শুরু হয় ১৯৮৫ সালে ঢাকা চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মাহবুব জামাল শামীম প্রতিষ্ঠিত চারুপীঠ আর্ট অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে।
ভাস্কর মাহবুব জামাল শামীম বলেন, “আমাদের শোভাযাত্রার ৪০ বছর পার হচ্ছে। এখন এটা স্থায়ী হয়ে গেছে। দেশের সম্পদ হয়েছে। এটা আনন্দের।”
শোভাযাত্রায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক জামাল উদ্দিন কবির বলেন, “যশোরের বিভিন্ন স্থানে গ্রামীণ মেলার ওপর কাজ হচ্ছে। যশোরের পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রার কথা শুনেছি। আজ দেখলাম এর বর্ণাঢ্য আয়োজন।”
শোভাযাত্রার আগে সকাল সাড়ে ৬টায় যশোরের পৌর উদ্যানে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজন করে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। ৫০ বছর ধরে যশোরে পহেলা বৈশাখের সকালে এ আয়োজন হয়ে আসছে। প্রতি বছরের মতো এবারও মানুষের ঢল নাম পৌর উদ্যানে।
এ ছাড়া অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠন শহরের বিভিন্ন স্থানে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করেছে।
যশোরে বর্ষবরণ উৎসবের আরেকটি ব্যতিক্রম আয়োজন হচ্ছে মিষ্টিমুখ করানো। শোভাযাত্রা শেষে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নিজ নিজ সংগঠনে এ আয়োজন করে থাকে। পরিবেশন করা হয় লুচি, বুন্দিয়া, ডাল, আলুর দম।
এদিকে শনিবার টাউন হল ময়দানে উদ্বোধন হয়েছে ১০ দিনব্যাপী লোকজ সংস্কৃতি উৎসব ও বৈশাখী মেলার। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও যশোর ইনস্টিটিউট এ মেলার আয়োজন করেছে।
যশোর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু বলেন, “যশোরে সুদীর্ঘকাল ধরে সব ধর্মের মানুষের মিলনমেলা এই বাংলা বর্ষবরণ উৎসব। সেই লক্ষ্যে মাহবুব জামাল শামীমরা শুরু করেছিলেন শোভাযাত্রা। এখন প্রতিটি সাংস্কৃতিক সংগঠন বর্ণাঢ্য সব আয়োজন থাকে।”