“শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।”
Published : 07 Oct 2024, 01:52 PM
বেতন বৃদ্ধি ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ নয় দফা দাবিতে ঢাকার ধামরাইয়ে আকিজ ফুড আ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন।
সোমবার সকালে উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের বারবাড়িয়া এলাকায় কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন বলে শিল্প পুলিশ-১ এর এসআই মো. রেজাউল করিম জানান।
এর আগে সকাল ৬টা থেকে প্রায় আধা ঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জগামী লেনে অবস্থান নেয় প্রায় শতাধিক শ্রমিক।
এ সময় ‘আমাদের দাবি মানতে হবে’, ‘বেতন বৈষম্য মানি না’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয় তারা। অবরোধের কারণে ওই মহাসড়কে প্রায় দুই কিলোমিটার অংশে যানজট সৃষ্টি হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আকিজ ফুডের কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করা শ্রমিকরা কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন দাবি জানিয়ে আসছিল। কর্তৃপক্ষ তাদের মৌখিকভাবে আশ্বস্ত করলেও দাবি মেনে নেয়নি। তিন মাস আগে বেতন বাড়ানোর কথা বলা হলেও শ্রমিকরা এখনও বর্ধিত বেতন পায়নি। এরই জেরে নয় দফা দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছে তারা।
নয় দফা দাবিগুলো হলো-মাসিক বেতন ১৫ হাজার টাকা করা, বেতনের অর্ধেক ঈদ বোনাস দেওয়া, প্রতিদিন সবাইকে ডিউটি দেওয়া, কর্ম দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে চাকরি স্থায়ীকরণ করা, কোম্পানির লভ্যাংশ দেওয়া, নাইট বিল দেওয়া, কোম্পানির ভেতরে কোনো শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার দায়ভার কোম্পানিকে নেওয়া, কোম্পানির প্রতিটি বিভাগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা এবং সাপ্তাহিক ছুটি দেওয়া।
আকিজ ফুডের এক নারী শ্রমিক বলেন, “সাত হাজার টাকা বেতন পাই। তাতে কিছু হয় না। পরিবারের খরচ চালাতে পারি না। তাদের কাছে বারবার বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছি। কিন্তু দাবি মানেনি।
“নিয়মিত ডিউটি দেয় না। কোনো ছুটি নেই। পাঁচ বছর ধরে চাকরি করি। কিন্তু স্থায়ী করেনি। তাই আজ আন্দোলন করছি।”
আরেক শ্রমিক বলেন, “আমাদের নয়টি দাবি কোম্পানির কাছে জানিয়েছি। যদি তারা দাবি না মানে, আমরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।”
এদিকে শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনায় কারখানার সামনে হাইওয়ে পুলিশ, এপিবিএন, শিল্প পুলিশ, আনসার ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যস্থতায় শ্রমিক ও মালিকপক্ষ দফায় দফায় বৈঠক করে সমঝোতায় চেষ্টা করছেন।
শিল্প পুলিশ-১ এর এসআই রেজাউল বলেন, “শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে।”
তবে এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের কেউ কথা বলতেও রাজি হয়নি।