ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলছেন, ফ্যাসিবাদের আঁতুড়ঘর ছিল আওয়ামী লীগের কার্যালয়। এখান থেকে হামলার নির্দেশ দেওয়া হতো।
Published : 07 Feb 2025, 03:56 PM
ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় এক্সকেভেটর দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া পৌরসভা ভবনের সামনে, জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তিনটি ম্যুরাল ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার রাতে জেলা শহরের বাংলাস্কুল মোড়ে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের দোতলা কার্যালয়ে এক্সকাভেটর দিয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। ভবনটির অর্ধেকের বেশি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েকশ ছাত্র-জনতা এক্সকাভেটর দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল গুঁড়িয়ে দিচ্ছে এবং ভোলা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙা হচ্ছে। এ সময় তাদেরকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতেও দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, রাত ৯টা থেকে ভোলা জেলা শহরের নতুন বাজার-সংলগ্ন প্রেসক্লাব এলাকায় জড়ো হতে থাকে ছাত্র-জনতা। রাত সাড়ে ৯টার দিকে একটি এক্সকেভেটর আনেন তারা। প্রথমে এক্সকেভেটরটি ভোলা পৌরসভা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করানো হয় এবং ভবনের সামনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এরপর জেলা পরিষদের সামনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। রাত ১০টার দিকে এক্সকাভেটরটি প্রবেশ করানো হয় ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে। সেখানেও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এসব স্থাপনা গত ৫ অগাস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর কিছুটা ভাঙচুর করা হলেও বৃহস্পতিবার পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলছেন, শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে তার ধানমন্ডির বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। এরই ধারাবাহিকতায় ভোলাতেও ভাংচুর করা হয়েছে।
তারা বলছেন, ফ্যাসিবাদের আঁতুড় ঘর ছিল আওয়ামী লীগের কার্যালয়। এ কার্যালয় থেকে হামলার নির্দেশ দেওয়া হতো। তাই মুজিববাদ এবং ফ্যাসিবাদকে নির্মূল করতে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার রাতে ভোলা শহরের গাজীপুর রোডে সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা।