ওজোপাডিকোর ভাষ্য, তাদের আওতায় গ্রাহক সংখ্যা ৬৫ হাজার এবং তাদের চাহিদা ৪৮ মেগাওয়াট; গত দুইদিন ধরে চাহিদার পুরোটাই পাওয়া গেছে।
Published : 04 Jun 2023, 09:13 PM
গরমের কারণে চাহিদা বেড়ে যাওয়া ও বিপরীতে জ্বালানি সংকটে উৎপাদন কমে যাওয়ায় সারাদেশে তীব্র হয়েছে লোডশেডিং।
তবে বরিশালের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাওয়ায় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে কম, স্বস্তিতে রয়েছেন নগরবাসী।
বরিশাল নগরীসহ ঝালকাঠি ও নলছিটি উপজেলার বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কর্তৃপক্ষ হচ্ছে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো)।
এ প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ -১ এর মাধ্যমে নগরীর দক্ষিণাংশসহ ঝালকাঠি ও নলছিটি উপজেলা সেবা দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ মাধ্যমে নগরীর উত্তরাংশের সেবা দেওয়া হয়।
ওজোপাডিকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমজাদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের আওতায় গ্রাহক সংখ্যা ৬৫ হাজার। তাদের চাহিদা ৪৮ মেগাওয়াট। গত দুইদিন ধরে চাহিদার পুরোটাই পেয়েছি।”
রোববার বিকালে ২ মেগাওয়াট কম পাওয়ায় ঝালকাঠি ও নলছিটিতে কিছু সময়ের জন্য লোডশেডিং দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। তবে বিকালের পর পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
ওজোপাডিকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক হোসেন জানান, নগরীর উত্তরাংশে গ্রাহক সংখ্যা ৫৭ হাজার। এ অংশে বিদ্যুতের চাহিদা ৩০-৩২ মেগাওয়াট। গত দুইদিন ধরে চাহিদার পুরোটুকুই পাওয়া যাচ্ছে। এর আগে কিছুটা সংকট থাকলেও তা কেটে গেছে।
বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার মো. হুমায়ুন কবির বলেন, “চাহিদার চারভাগের তিনভাগ বিদ্যুৎ পাচ্ছি। এই এক ভাগ পূরণ করতে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ-১ এর অধীনে তিন লাখ ১০ হাজার গ্রাহকের জন্য চাহিদা ৬৫ মেগাওয়াট। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ মেগাওয়াট, তাই লোডশেডিং দেওয়া হলেও দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে তা তুলনামূলক অনেক কম।
গত সপ্তাহ থেকে লোডশেডিং হলেও তা দেশের অন্যান্য এলাকা থেকে কম বলে জানিয়েছেন বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার মো. সাদেকুর রহমান।
তিনি জানান, ৩ লাখ গ্রাহকের বিপরীতে তার চাহিদা ৬০ মেগাওয়াট। সেখানে ৪০ মেগাওয়াট পাওয়া যাচ্ছে। তাই ৩০ থেকে ৪০ ভাগ সময় লোডশেড দেওয়া হচ্ছে।