বুধবার রাতে কাশিমপুর থানায় বিগবস কারখানার সিনিয়র ম্যানেজার (অ্যাডমিন) এমএম হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে কাশিমপুর থানায় জিডি করেন।
Published : 13 Sep 2024, 08:24 PM
গাজীপুর নগরীর কাশিমপুরের চক্রবর্তী এলাকায় ‘বহিরাগত শ্রমিকদের’ দেওয়া আগুনে পুড়ে বিগবস করপোরেশন লিমিটেডের কারখানায় ৫৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় দায়ের করা একটি সাধারণ ডায়েরিতে (জিডিতে) এ ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের কোনাবাড়ী জোনের সহকারী কমিশনার সুবীর কুমার সাহা জানান, ঘটনার দিন অর্থাৎ বুধবার রাতে কাশিমপুর থানায় বিগবস কারখানার সিনিয়র ম্যানেজার (অ্যাডমিন) এমএম হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে কাশিপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এর আগে বুধবার দুপুরে ‘বেক্সিমকো কারখানার’ শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে বিক্ষোভের এক পর্যায়ে ‘বিগবস কর্পোরেশনের লিমিটেড কারখানার’ ওয়্যার হাউজে অগ্নিসংযোগ করে বলে কারখানার ম্যানেজার মোজাম্মেল হক টিপু জানান।
জিডিতে হাবিবুর রহমান হাবিবুর রহমান উল্লেখ করেন, “অজ্ঞাত পরিচয় তিন থেকে চার হাজার সন্ত্রাসী এ্যাপটেক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বিগবস করপোরেশন, বিগবস ওয়াসিং, এপটেক ক্যাসুয়ার, সালিনা ফ্যাশন লিমিটেডের গোডাউনের মেইন গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে। তারা সিকিউরিটি গার্ডদের বেধড়ক মারধর করে। তখন তাদের বিরত করার জন্য ফ্যাক্টরির কর্মকর্তা ও শ্রমিকরা চেষ্টা করলে ২৫ জনকে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়।
“এক পর্যায়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে গোডাউনে থাকা ফেব্রিক্স, কেমিক্যাল, কার্টন, প্লাস্টিক হ্যাংগারসহ চলমান বায়ারের আরও অন্যান্য মালামাল ও একটি স্টাফ বাস পুড়িয়ে দেয়। যাতে আনুমানিক ৫৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়।”
সেদিনের ঘটনার বর্ণনায় প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, ‘বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিজ’ কারখানার শ্রমিকরা বুধবার সকাল থেকে বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে দুপুরে শ্রমিকরা সারাবো এলাকাসহ আশপাশের এলাকার বিভিন্ন পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণার দাবি করে। এছাড়া ওইসব কারখানার শ্রমিকদের কাজ বন্ধ রেখে তাদের সঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নিতে বলে।
কিন্তু কারখানার কাজ বন্ধ করে আন্দোলনে অংশ না নেওয়ায় বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকরা বিভিন্ন কারখানার সামনে গিয়ে জানালার কাজ ও গেটে ভাঙচুর চালায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে অনেক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এক পর্যায়ে বিগবস কর্পোরেশন লিমিটেড কারখানার ওয়্যার হাউজে অগ্নিসংযোগ করে শ্রমিকরা।
সেদিন কারখানা কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই ওয়্যার হাউজে এক্সপোর্টের ফেব্রিক্স ছিল। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে শ্রমিকরা তাদের একটি গাড়ি ভাঙচুর করলে তারা ফিরে যায়।