পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল্লাহর গাড়ির ওই চালক সুজন বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বলেন সাভার মডেল থানার ওসি।
Published : 09 Mar 2025, 10:05 PM
ঢাকার সাভারে এক নারী পুলিশ কনস্টেবলকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতার গাড়িচালকের বিরুদ্ধে।
রোববার দুপুরে সাভার পৌর এলাকার থানা বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে বলে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিনুর কবীর জানান।
আহত কনস্টেবল ইতি খানম (৩৮) গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানায় কর্মরত। তিনি সাভার থানা কোয়ার্টারে বসবাস করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিঞা বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর চালক সুজন বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে কনস্টেবল ইতি খানম বলেন, “বিকাল থেকে আমার ডিউটি ছিল। কালিয়াকৈর থানায় যাওয়ার জন্য আমি সিভিল পোশাকে সাভার থানার সামনে থেকে একটি রিকশা নিয়ে থানা বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিলাম। আমার রিকশা বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি পৌঁছানোর পর বিপরীত দিক থেকে আসা সাভার পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল্লাহর প্রাইভেট কারের খুব কাছাকাছি চলে যায়।
“এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই গাড়ির ড্রাইভার সুজন বাবু বকাঝকা করতে থাকেন। আমি তার আচরণের প্রতিবাদ করি এবং নিজের পরিচয় দেই। পরিচয় দেওয়ার পর পরই ওই ড্রাইভার গাড়ি থেকে লোহার রড বের করে আমাকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। আমার দুই পা রক্তাক্ত জখম হয়।”
ইতি খানম বলেন, “তখন আমার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে তিনি গাড়ি নিয়ে দ্রুত সটকে পড়েন।”
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য গাড়িচালক সুজন বাবুর মোবাইলে কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সাভার পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল্লাহ বলেন, “ঘটনার সময় আমি গাড়িতে ছিলাম না। বিষয়টি জানার পর ড্রাইভারকে ডেকে এনে শাসিয়েছি। থানা থেকে আমাকে ফোন দিয়েছিল। থানায় গিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।”
এ বিষয়ে জানতে সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিঞার মোবাইলে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিনুর কবীর বলেন, “ঘটনাটি আমরা শুনেছি। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”