নানা আয়োজন আর ফুলেল শ্রদ্ধায় শহীদের স্মরণ

প্রথম প্রহরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 March 2023, 11:39 AM
Updated : 26 March 2023, 11:39 AM

স্বাধীনতার ৫২ বছরে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে জাতি; ফুলে ফুলে ভরে গেছে সারা দেশের শহীদ বেদিগুলো। 

রোববার ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে ৩১ বার তোপধ্বনি থেকে শুরু করে দিনব্যাপী শহীদ বেদি ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, কুচকাওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। 

এসব অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোর-তরুণরাও অংশ নিয়েছেন।

গোপালগঞ্জ: মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে মানুষের ঢল নামে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সমাগম বাড়তে থাকে। 

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের প্রথম প্রহরে রাত ১২ টা ১মিনিটে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। 

তারপর রাত ১টা পর্যন্ত একে একে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদ,  গোপালগঞ্জ পৌরসভা, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠন, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, গোপালগঞ্জ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এরপর পবিত্র ফাতেহা পাঠ করে বঙ্গবন্ধু, ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের শহীদ ও ’৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী ৩০ লাখ শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়। 

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্য, দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনায় প্রার্থনা করা হয়। 

দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা নওয়াব আলী। 

পরে রোববার সকাল ১০টার পর থেকে বিভিন্ন সংগঠনসহ হাজার হাজার মানুষ বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

দুপুর ১২টায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খানের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

এরপর পবিত্র ফাতেহা পাঠ করে বঙ্গবন্ধু, ১৫ আগস্টের শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন তারা। 

শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, গোপালগঞ্জ জেলা সভাপতি মাহবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা সভাপতি শেখ আবুল বশার খায়ের, সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফোরকান বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা: সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

সকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পরে শহীদ হাসান চত্ত্বরের শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন করা হয়।

এসময় চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

সকাল ৮টায় চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। 

গাজীপুর: রোববার জেলা শহরের ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। 

সকাল সোয়া ৬টায় জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, জিএমপি পুলিশের পক্ষে উপ-কমিশনার আবু তোরাব মো. শামসুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম, গাজীপুর প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। 

এছাড়াও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রির) প্রশাসনিক ভবনের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবির, খামার ব্যবস্থাপনা প্রধান মুখ্য বৈজ্ঞাণিক কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) কাওছার আহামদ, ব্রির পরিচালক (গবেষণা) ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান, বিজ্ঞানি সমিতির সভাপতি ড. আমিনা খাতুন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য মশিউর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার, বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার, প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিম বানু, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহবুবা নাসরীন, ট্রেজারার অধ্যাপক মোস্তফা আজাদ কালাম, রেজিস্ট্রার ড. শফিকুল আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (বিডিইউ) উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ। 

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জেলা শহরের বরকত স্টেডিয়ামে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

জেলার শ্রীপুর, কালিয়াকৈর, কাপাসিয়া, কালীগঞ্জ এবং সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে অনূরূপ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

শেরপুর: শেরপুরে ভোরে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয়  দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়। পরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার, পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন। 

এ ছাড়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট কমান্ড, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা পরিষদ, জেলা সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, মুক্তিযুদ্ধ’৭১, সাংবাদিক বিপ্লবী রবি নিয়োগী সভাকক্ষ পরিচালনা পর্ষদ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠি, প্রগতি লেখক সংঘ, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও শ্রেণি-পেশার মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। 

এ সময় শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। 

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে রোববার সকালে শহরের চকবাজারে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানু। 

পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

জামালপুর : জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে জামালপুরে দিবসের সূচনা হয়। 

ভোর ৫টা ৫৭ মিনিটে জামালপুরে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা স্মতিস্তম্ভে ও বধ্যভূমিতে শহীদদের স্মরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায়, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ‘৭১, জামালপুর প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন। 

এরপরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম স্টেডিয়াম মাঠে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়াও দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করে জেলা প্রশাসন। 

মাগুরা:  মাগুরায় প্রত্যুষে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সূচনা করা হয়। 

সকাল সাড়ে ৭টায় মাগুরা নোমানী ময়দানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, জেলা প্রশাসক মোহম্মাদ আবু নাসের বেগ, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ অমিত কুমার দে, পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা, সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য কামরুল লায়লা জলি, সিভিল সার্জন ডাক্তার শহীদুল্লাহ দেওয়ান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ফ ম আব্দুল ফাত্তাহ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুন্ডু, সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হাকিম বিশ্বাসসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। 

সকাল সাড়ে ৮টায় নোমানী ময়দান মাঠে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। 

সাড়ে ৯টায় আসাদুজ্জামান মিলনায়তনে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন শীর্ষক’ আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

নওগাঁ: নওগাঁয় রোববার সকাল ৮টায় স্টেডিয়াম মাঠে পুলিশ প্রশাসন ও বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে কুচকাওয়াজ হয়। পরে কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। 

এ ছাড়াও ‘পরিসংখ্যান ব্যবস্থার উন্নয়ন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন’ এ জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উদ্যোগে দুটি স্কুলের ১২জন মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে ট্যাব বিতরণ করা হয়। 

এসময় জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান ও পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে সকালে শহরের মুক্তির মোড়ে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, প্রেসক্লাব, জেলা টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

নরসিংদী: নরসিংদীতে প্রত্যুষে মোসলেহ উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে তোপধ্বনির মাধ্যমে ৫২তম মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। 

সকালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। 

সকাল ৮টায় মুসলেহ উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং প্যারেড ও কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। 

এ ছাড়া জেলার সকল উপজেলায় দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মহান স্বধীনতা দিবসটি পালন করা হয়।

নীলফামারী : নীলফামারীতে রোববার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলার সরকারি, আধাসরকারি স্বায়ত্বশাসিত, বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা ঘটে। 

এরপর স্বাধীনতার বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে সকাল ৫টা ৫৭ মিনিটে জেলা শহেরর চৌরঙ্গী মোড়স্থ স্বাধীনতা অম্লান স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করে সর্বস্তরের মানুষ। 

প্রথমে রাষ্ট্রের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।

এরপর সেখানে পর্যায়ক্রমে শ্রদ্ধা নিবেদন করে, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নীলফামারী প্রেসক্লাব, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ। 

সকাল ৮টা অনুষ্ঠিত হয় নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশ, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, বিএনসিসি, পুলিশ, আনসার ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সমন্বয়ে কুজকাওয়াজ। 

সকাল ৯টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, সুধিজন ও শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণ, সকাল ১১টায় ডিসি গার্ডেনে জেলা শিশু একাডেমির আয়োজনে শিশুদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি পাঠ এবং পুরস্কার বিতরণ শেষে বিকালে সার্কিট হাউজে বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

নোয়াখালী : নোয়াখালীতে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। প্রত্যুষে নোয়াখালী জিলা স্কুলে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। 

এরপর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর পক্ষে জেলা জজ আদালতের পিপি গুলজার আহমেদ জুয়েল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচএম খায়রুল আনম সেলিম, জেলা সদরের সোনাপুর বিআরটিসি বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ম্যানেজার (অপারেশন) ওমর ফারুক মেহেদী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, নোয়াখালী প্রেসক্লাব, জেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।