সদরের ঘটনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আর শাহজাদপুরের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Published : 23 Nov 2022, 03:29 PM
সিরাজগঞ্জ সদরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং শাহজাদপুরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
সদরের ঘটনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আর শাহজাদপুরের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ চয়ন ইসলামের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা চালায়। এ সময় তারা অফিসের টেবিল-চেয়ার,বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করে।
“এছাড়াও তারা একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। ”
এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বিকাল ৪টায় গাড়াদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে সোমবার রাতে সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউপির পাইকপাড়ায় অবস্থিত ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়েও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকালে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ।
সদর থানার পরিদর্শক সুমন চন্দ্র দাস বলেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়েছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেনের দায়ের করা মামলায় সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরকার মো. রফিকুল ইসলামসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১৫০ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
শাহজাদপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম মৃধা জানান, গাড়াদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
কালিয়া হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “সোমবার রাত ১২টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে আমরা সমাবেশও মামলা করেছি।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশের প্রধান সমন্বয়ক ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, “বিএনপির আন্দোলনে ভীতু হয়ে সরকার গুলি করে আমাদের কর্মীদের হত্যা করছে। তারা রাষ্ট্রটাকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। তারই অংশ হিসাবে নিজেরাই তাদের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিচ্ছে।”