শনিবার দুপুরের মধ্যে বিদ্যুৎসংযোগ পুনঃস্থাপন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
Published : 17 Nov 2023, 10:18 PM
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে বাগেরহাটে পল্লী বিদ্যুতের ২৫ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ে আমন ধানের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে ঝড় থেমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামত করতে মাঠে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) সুশান্ত রায়।
শনিবার দুপুর নাগাদ গ্রাহকদের বিদ্যুৎসংযোগ পুনঃস্থাপন করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
টানা বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ায় আমন ধানের খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতির বলে দাবি করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তবে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে মাঠে কাজ শুরুর কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
এদিকে ঝড়ে কী পরিমাণ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও গাছপালা উপড়ে পড়েছে রাত ১০টা পর্যন্ত সে সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি জেলা প্রশাসন।
জিএম সুশান্ত রায় বলেন, ঝড়ের কারণে শুক্রবার সকালে জেলার প্রায় সাড়ে তিন লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঝড়ো হাওয়ায় জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের তারের উপর গাছ ও ডালপালা পড়ে তার ছিড়ে গেছে। ঝড় থেমে যাওয়ার পর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা গাছ ও ডালপালা অপসারণ করে তার মেরামত করছেন।
শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত সোয়া তিন লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে; এখনো ২৫ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে আছে বলে তিনি জানান।
কৃষিতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নিয়ে বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শংকর কুমার মজুমদার বলেন, “ঝড়ো হাওয়া ও টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় মাঠে আমন ধানের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাচ্ছি। শনিবার কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে গেলে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা বলা সম্ভব হবে।”
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানতে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেনকে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।