পদ্মা নদীতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিখোঁজ শেষ ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদের সংযোগস্থল মাদারীপুরের শিবচর এলাকা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
শহিদুল ইসলাম (৩৮) গত ৫ ফেব্রুয়ারি দুই স্পিডবোটের সংঘর্ষের সময় একটি বোটের যাত্রী ছিলেন।
এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু হলো। এছাড়া আহত তিনজনকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নিখোঁজের তালিকায় আর কোনো নাম না থাকায় উদ্ধার অভিযান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে চরভদ্রাসনের ইউএনও তানজিলা কবির জানান।
শহীদুলের স্ত্রী যুঁথী আক্তার জানান, শহীদুল একজন ব্যবসায়ী। ঢাকায় তার ইলেকট্রিক্যাল সামগ্রীর দোকান রয়েছে। তিনি চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের ফাজেল খাঁর ডাঙ্গী গ্রামের শেখ চাঁন মিয়ার ছেলে। তাদের দুই মেয়ে রয়েছে।
পারিবারিক ও জমিজমার কাজে তিনি ঢাকা থেকে বাড়ি আসছিলেন বলে যুঁথী জানান।
চরভদ্রাসন ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার মুর্তজা ফকির বলেন, “বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জানতে পারি ওই এলাকা দিয়ে একটি মৃতদেহ নদী দিয়ে ভেসে যাচ্ছে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ১৫ কিলোমিটার দূরে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।”
চরভদ্রাসন থানার ওসি মিন্টু মন্ডল বলেন, মৃতদেহটি স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিখোঁজ শহিদুলের বলে শনাক্ত করেছেন তার বড় ভাই মো. শাহজাহান।
চরভদ্রাসনের ইউএনও তানজিলা কবির বলেন, স্পিডবোট দুর্ঘটনায় পাঁচ জন নিখোঁজ ছিলেন বলে আমাদের কাছে তথ্য ছিল। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার দুই জন ও গত বুধবার দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার সর্বশেষ শহিদুলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি জানান, শহীদুলের মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি দাফন করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে তার পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
গত রোববার [৫ ফেব্রুয়ারি] সকালে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীতে দুটি স্পিডবোট মুখোমুখি সংঘর্ষের পর ডুবে যায়। একটি স্পিডবোট মৈনট থেকে যাত্রী নিয়ে গোপালপুর ঘাটের দিকে আসছিল। আরেকটি যাত্রীবিহীন স্পিডবোট গোপালপুর ঘাট থেকে মৈনট ঘাটের দিকে যাচ্ছিল। পথে ঘন কুয়াশার মধ্যে এ দুটির সংঘর্ষ হয়।