পুলিশ জানায়, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তরুণীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Published : 17 Mar 2025, 02:16 PM
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় এক তরুণীকে ‘দলবেঁধে ধর্ষণ’ মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার লাকসাম থানার ওসি নাজনীন সুলতানা বলেন, রোববার তরুণীর মা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়। সব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার মনোহরপুর এলাকার ছেলে মোহাম্মদ আলী (২৫), লাকসাম পৌরসভার শ্রীপুর মধ্যপাড়ার মো. মাসুদ (২৩), বাতাখালী এলাকার মনির হোসেন হৃদয় (২৩), উত্তর বিনই এলাকার আল আমিন (২৩) এবং মধ্য লাকসাম এলাকার বিলকিছ আক্তার কল্পনা (৪০)।
মামলার বরাতে ওসি নাজনীন বলেন, “১৩ মার্চ নোয়াখালীর সোনাপুর এলাকার এক তরুণী তার স্বামীকে নিয়ে নানা শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার জন্য বের হন। ১৪ মার্চ ভোরে তারা লাকসাম বাইপাস মোড় থেকে বাড়ি ফেরার জন্য অটোরিকশায় ওঠেন। অটোরিকশা চালক মাসুদ তারা স্বামী-স্ত্রী কিনা জানতে চেয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে।
“একপর্যায়ে কৌশলে মাসুদ তাদের লাকসামের গন্ডামারা এলাকায় নিয়ে যান। অভিযুক্তরা তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে এবং পরিকল্পিতভাবে লালমাই উপজেলার মগবাড়ি এলাকায় নিয়ে স্বামীকে ফেলে রেখে তরুণীকে অপহরণ করে।”
তিনি আরও বলেন, “অপহরণের পর অভিযুক্তরা তরুণীকে বড়তুপা এলাকায় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে মাসুদ ও মোহাম্মদ তাকে ধর্ষণ করে। পরে তরুণীকে লাকসাম পৌর শহরের ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের তালুকদার ভিলায় বিলকিছ আক্তারের ভাড়া বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে পুনরায় ধর্ষণ করা হয়।”
নাজনীন বলেন, “ঘটনার পর তরুণীর স্বামী তাদের স্থানীয় আত্মীয়-স্বজনের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে লাকসাম থানায় নিয়ে যায়। পরে তরুণীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে লাকসাম থানায় মামলা করেন।”
ওসি বলেন, “পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত তদন্ত শুরু করা হয়। পুলিশ দিনভর অভিযান চালিয়ে পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। আসামিদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। আমরা এ ঘটনায় কঠোর অবস্থানে রয়েছি।”
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লাকসাম থানার এসআই মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তরুণীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি সেখানেই ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসা নিচ্ছেন।”