ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গৃহবধূর স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
Published : 09 Apr 2025, 05:10 PM
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বাদাম ক্ষেত থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার সকালে উপজেলার বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের খেরবাড়ী গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানান বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি শওকত আলী সরকার।
মৃত আনু বেগম (৩৫) ওই গ্রামের প্রয়াত বসির উদ্দীনের মেয়ে ও একই গ্রামের একরামুল হকের স্ত্রী।
আটক একরামুল বড় ওই গ্রামের ইয়াজ উদ্দিনের ছেলে। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
মৃতের স্বজনদের বরাতে পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবু সালেহ বলেন, “পারিবারিক বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এ ঘটনা পর রাতেই নিখোঁজ হন আনু।”
বুধবার সকালে একরামুল বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে বাদাম ক্ষেতে আনুর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্বজনদের খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
আনুর ভাই রেসেবুল বলেন, “২৫ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক থেকে আনু ও একরামুলের বিয়ে হয়। প্রথমে পরিবার না মানলেও পরে তাদের মেনে নেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে আমার বোনের ওপর শুরু হয় নির্যাতন।
“একরামুল তার মা ও দুলাভাই মিলে প্রায় আমার বোনকে মারধর করতেন। এসব ঘটনা নিয়ে গ্রামে দুইবার সালিশ হলেও তারা থামেননি। আমার বোন সব সহ্য করে সন্তানদের মুখ চেয়ে সংসার চালিয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। এ হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, “দাম্পত্য জীবনে তাদের ঝগড়া লেগেই থাকত। বিভিন্ন অজুহাতে স্ত্রীকে মারধর করত একরামুল। শাশুড়িও তাকে নির্যাতন করত। ঘটনাস্থলে এসে যেটা শুনলাম, রাতে আনুকে পাশবিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে।”
ওসি শওকত আলী বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা। আনুর স্বামীকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।