প্রতিদিন সকাল সোয়া ৯টায় বেনাপোল থেকে ট্রেনটি মোংলার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে বলে জানান স্টেশন মাস্টার।
Published : 01 Jun 2024, 05:00 PM
যশোরের বেনাপোল থেকে বাগেরহাটের মোংলা পর্যন্ত নতুন স্থাপিত রেলপথে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে ট্রেন চলাচল।
শনিবার সকাল ১০টায় ৬৮৭ জন যাত্রী নিয়ে বেনাপোল থেকে ছেড়ে যাওয়া ‘মোংলা কমিউটার’ ট্রেনটি দুপুর ২টায় মোংলায় পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন বেনাপোল রেল স্টেশনের মাস্টার সাইদুর রহমান।
প্রতিদিন সকাল সোয়া ৯টায় বেনাপোল থেকে ট্রেনটি মোংলার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে; তবে মঙ্গলবার বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।
স্টেশনের মাস্টার সাইদুর বলেন, এই পথের দূরত্ব ১৩৮ দশমিক ৬৪ কিলোমিটার। বেনাপোল থেকে যশোর হয়ে খুলনা পর্যন্ত ‘বেতনা এক্সপ্রেস’ নামে একটি লোকাল ট্রেন চলাচল করে।
এখন থেকে সেটি বেনাপোল থেকে ছেড়ে খুলনার ফুলতলা জংশন হয়ে মোংলার পথে যাত্রা করবে। তখন মোংলা পর্যন্ত ট্রেনটি ‘মোংলা কমিউটার’ নামে চলবে।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি এই রেলপথ উদ্বোধন করেন। এর আগে ৩০ অক্টোবর ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানো হয়। উদ্বোধনের প্রায় সাত মাস পর শুরু হল ট্রেন চলাচল।
বেনাপোল থেকে ছাড়ার পর ট্রেনটি মোংলায় পৌঁছানো আগে নাভারণ, ঝিকরগাছা, যশোর জংশন, রূপদিয়া, সিঙ্গিয়া, চেঙ্গুটিয়া, নওয়াপাড়া, বেজেরডাঙ্গা, ফুলতলা, আড়ংঘাটা, মোহাম্মদনগর, কাটাখালি, চুলকাটি বাজার, ভাগা ও দিগরাজ স্টেশনে যাত্রাবিরতির করবে বলে জানান স্টেশনের মাস্টার সাইদুর।
এর আগে বুধবার রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. আব্দুল আওয়াল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, শনিবার সকাল সোয়া ৯টায় বেনাপোল থেকে ছেড়ে ট্রেনটি দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে মোংলায় পৌঁছাবে।
এরপর মোংলা থেকে ট্রেনটি ছাড়বে দুপুর ১টায়; যেটি বেনাপোলে পৌঁছাবে বিকাল সাড়ে ৪টায়। মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের অন্যান্য দিন এ পথে একই সময়ে ট্রেনটি চলাচল করবে।
বেনাপোলের সি অ্যান্ড এফ ব্যবসায়ী জামাল হোসেন বলেন, মোংলার সঙ্গে ট্রেন চালু হওয়ায় বেনাপোলের ব্যবসায়ীদের তেমন কোনো উপকার না হলেও যাত্রীদের চলাচল সহজ হবে। তবে লাভবান হবেন খুলনার ব্যবসায়ীরা। তারা মোংলা বন্দর দিয়ে কম সময় ও কম খরচে মালামাল নিতে পারবেন।
এ পথে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় মোংলার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হল বলে মনে করেন পাসপোর্ট যাত্রী বিশ্বনাথ কুণ্ডু।
তিনি বলেন, “এখানে সুন্দরবন ও মোংলা বন্দর দেখতে আসা দেশি বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে। গতিশীল হবে মোংলার সঙ্গে যাতায়াত সুবিধা।”
খুলনা-মোংলা পথে এখনও জনবল নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার তালকুদার।
তিনি বলেন, “রেলের বিভিন্ন জায়গা থেকে জনবল এনে আপাতত কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।”