“চিকিৎসকরা পুলিশকে জানিয়েছিলেন মায়ের রক্তশূন্যতা ও প্রেশার অনেক হাই।” মৃতের ছেলে বলেন।
Published : 02 Jun 2024, 05:00 PM
যশোরের অভয়নগর থানায় ইয়াবাসহ আটকের পর ‘অসুস্থ হয়ে’ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
মৃত ওই নারীর নাম আফরোজা বেগম। তিনি অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ধোপাদী মোড়ের বাসিন্দা আব্দুল জলিলের স্ত্রী।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক রোববার সকালে আফরোজাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে শনিবার রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে ৩০টি ইয়াবাসহ তাকে বাড়ি থেকে আটক করা হয় বলে অভয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শুভ্র প্রকাশ দাস জানান।
আফরোজার স্বামীর অভিযোগ, মারধর করার কারণে আফরোজা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
পরিদর্শক শুভ্র প্রকাশ বলেন, “আফরোজাকে আটকের পর তাকে থানা হাজতে রাখা হয়। এরপর রোববার সকাল ৮টার পর তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সুস্থ বোধ করলে আবার তাকে থানায় আনা হয়।
“কিছুক্ষণ পর সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে তিনি ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন আবারও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আফরোজাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসিব মোহাম্মদ আলী হাসান বলছেন, বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে আফরোজা বেগমকে জরুরি বিভাগে আনা হয়। তখন তিনি মৃত ছিলেন। মৃত্যুর কারণ জানতে তার মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মৃত আফরোজার স্বামী আব্দুল জলিলের অভিযোগ, তার স্ত্রীকে আটকের সময় মারধর ও ফ্যানের সঙ্গে চুল বেধে নির্যাতন করা হয়। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই অবস্থায় তাকে থানায় নেওয়া হয়।
আফরোজা বেগমের ছেলে মুন্না বলেন, তার মাকে আটকের পরপরই থানায় নেওয়া হয়। থানার সামনে থাকাকালে তার মাকে প্রথম যখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, তখন সেখানে চিকিৎসকরা পুলিশকে জানিয়েছিলেন মায়ের রক্তশূন্যতা ও প্রেশার অনেক হাই।
তারা দুইটি পরীক্ষা ও করাতে বলেছিলেন।
মুন্নার অভিযোগ, “কিন্তু পুলিশ তা না করে মাকে আবার থানায় নিয়ে যায়। পরে আবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয় এবং সেখান থেকে যশোরে পাঠানো হয়।”
“অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার জন্য যখন গাড়িতে তোলা হচ্ছিল তখনই তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে।”
আফরোজাকে মারধরের অভিযোগ প্রসঙ্গে পরিদর্শক শুভ্র প্রকাশ বলেন, “কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।”