আহতদের মধ্যে একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
Published : 16 Feb 2024, 10:55 PM
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় ‘আধিপত্য বিস্তারকে’ কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে এক যুবকের প্রাণ গেছে; এতে আহত হয়েছেন অন্তত আটজন৷
শুক্রবার বিকালে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কান্দারগা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোহসীন মিয়া জানান।
নিহত ২৪ বছর বয়সি পারভেজ হোসেন ওই গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, বিকাল ৫টার দিকে আহত অবস্থায় পারভেজকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অন্য আহতরা হলেন- রুহুল আমিন (৩৮), মো. রিটন (৩৪), রিদয় (২৮), আক্তার হোসেন (৪৩)। তারা যুবলীগ নেতা জাকির হোসেনের সমর্থক।
অপরদিকে দেলোয়ার হোসেন, (৪০) জামান (২৭), কামাল (৩৫), মহসিন (৪২) জসিম উদ্দিনের সমর্থক। তারা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদের মধ্যে জাকিরের ছোট ভাই রুহুল আমিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। নিহত পারভেজ জাকিরের সমর্থক ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেন ও আওয়ামী লীগ সমর্থক জসিম উদ্দিন বালু উত্তোলন ও ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে আগেও বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ হয়েছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর এলাকার মসজিদে ভবনাথপুর থেকে কান্দারগাঁও গ্রাম পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি স্থানীয়রা উপস্থাপন করলে জাকির ও জসিমের সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্র, টেঁটা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের মধ্যে দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক পারভেজকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান পুলিশ পরিদর্শক মোহসীন।
এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা জাকির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জসিম ও তার লোকজন কোনো উসকানি ছাড়াই তাদের ওপর হামলা করে। এতে তার এক সমর্থক মারা গেছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তার ছোটভাই।
২০১৮ সালে তার এক ভাগ্নেকে প্রতিপক্ষের লোকজন হত্যা করে বলে দাবি করেন এ যুবলীগ নেতা।
এ বিষয়ে জানতে জসিম উদ্দিনের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। নিহতের খবর এলাকায় ছড়ালে গ্রামে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
ফের সংঘর্ষ এড়াতে ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান পরিদর্শক মোহসীন।