দুপুরে নগরের বন্দরবাজার কালেক্টর জামে মসজিদের সামনে থেকে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশ থেকে এই আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
Published : 09 Jan 2025, 08:35 PM
সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল অপসারণে তিন দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে একদল লোক; যারা নিজেদের ‘তৌহিদী জনতা’ বলে পরিচয় দেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশ থেকে এই আল্টিমেটাম দেন সিলেট নগরের জামেয়া মাদানিয়া কাজির বাজার মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ।
তবে সিলেট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ তার কার্যালয়ের সামনে থেকে শেখ মুজিবরের ম্যুরাল অপসারণে আল্টিমেটামের বিষয়ে কিছু জানেন না।
তিনি বলেন, “আমার কাছে কেউ আসেনি; কিছু বলেও নাই। আমি আপনাদের কাছ থেকে এটি শুনেছি।”
এর আগে বিক্ষোভ মিছিলটি নগরের বন্দরবাজার কালেক্টর জামে মসজিদের সামন থেকে বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সিটি পয়েন্টে সমাবেশে মিলিত হয়।
বক্তাদের দাবি, শাহজালাল-শাহপরাণের পুণ্যভূমি সিলেটের পবিত্র মাটিতে ধর্মীয় উপাসনালয় ব্যতীত কোনো ব্যক্তির মূর্তি বা ম্যুরাল থাকতে পারে না। ইসলামের দৃষ্টিতে কোনো ব্যক্তির ম্যুরাল বা মূর্তি স্থাপন করা নাজায়েজ ও হারাম। এ ধরনের হারাম কাজ সিলেটের মাটিতে হতে দেওয়া যায় না।
এই ম্যুরাল অপসারণের দাবি এখন সিলেটের ধর্মপ্রাণ জনতার। আগামী তিন দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসক কর্তৃপক্ষকে তাদের কার্যালয়ের সামন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল অপসারণ করতে হবে।
ম্যুরাল অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত সিলেটের ধর্মপ্রাণ জনতা নীরবে বসে থাকবে না বলে জানান তারা।
সমাবেশে সিলেট নগরের জামেয়া মাদানিয়া কাজির বাজার মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা রফিকুল ইসলাম মুশতাক, ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব, সিলেট ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মাওলানা মো. রফিকুল ইসলাম, আখতার আহমদ এবং নুরুল ইসলাম বক্তব্য দেন।