গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আজমত উল্লা খানকে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে ফের সশরীরে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। একই অভিযোগে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলকেও সতর্ক করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলছে, বৃহস্পতিবার যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল সভা করে নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেছেন; যেখানে প্রার্থী নিজে উপস্থিত ছিলেন।
এটি সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) ২০১৬ বিধি-৫ এর পরিপন্থি বলে জানিয়েছে ইসি। এজন্য বিধির ৩২ ধারা অনুযায়ী প্রার্থিতা বাতিলের সুযোগ রয়েছে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠান।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম শুক্রবার সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে জরুরি বৈঠকে আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য আজমত উল্লা খানকে তলবের সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
এর আগে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থী আজমত উল্লা খান আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছিলেন এমন অভিযোগে ৩০ এপ্রিল তার কাছে ব্যাখ্যা তলব করে ইসি। প্রতীক বরাদ্দের আগে নির্বাচনী প্রচারের কারণে কেন তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না- এর ব্যাখ্যা দিতে ৭ মে বিকাল ৩টায় তাকে ঢাকার নির্বাচন ভবনে তলব করা হয়।
এর মধ্যে তিনি আবার আচরণবিধি ভঙ্গের নোটিশ পেলেন।
অপরদিকে একান্ত সচিবের মাধ্যমে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে সতর্ক করা হয়েছে।
ইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, “সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল সভা করে মেয়র পদ প্রার্থী আজমত উল্লা খানের উপস্থিতিতে তার পক্ষে ভোট চেয়ে সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ বিধি-৫ ও বিধি ২২ লঙ্ঘন করেছেন।”
এর আগে ২৯ এপ্রিল যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছিল ইসি।
এর আগে গাজীপুরে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককেও সতর্ক করে রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এরই মধ্যে এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন আগামী ২৫ মে।